মঙ্গলবার কোকোপাম রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রিয়াদ আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাহউদ্দীন ফারুক এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুস সালাম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রিয়াদসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্স্যুলার খায়রুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আব্দুর রব, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কন্স্যুলার খায়রুল আলম বলেন, সৌদি আরবের বাদশাহ কর্তৃক অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর আপনারা দলমত নির্বিশেষে যেভাবে দূতাবাসের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

দলের বিভক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই পতাকার মানুষ হয়ে আপনারা কেন এক হতে পারবেন না। আমি আশা, করি সমস্ত দলাদলি থেকে বের হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহউদ্দীন ফারুক বলেন, নাম সর্বস্ব সহযোগী সংগঠন নিয়ে দলাদলি না করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিজের জনসমর্থন যাচাই করুন। আমার কনিষ্ঠ দুজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সর্মথনে সভাপতি হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আপনি সভাপতি হবেন আর আমি রাজনীতি ছেড়ে চলে যাবো।

সামাজিক ওয়েবসাইটে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এভাবে চলে না। এই সংগঠন মাটি ও মানুষের সংগঠন। তাই জনমত যাচাইয়ের জন্য মাঠে আসুন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- রিয়াদ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন, সহ-সভাপতি ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, মির্জা হেলালউদ্দীন ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন মোড়ল, প্রকৌশলী তৌহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হুকুম আলী, উপদেষ্টা সাহিদুল হক সাহীদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইলিয়াছ ভূঁইয়া, মেজবাউর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ইছা উল্লাহ প্রমুখ।