বিবেক আপনার, তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবার দায়িত্বও আপনার!
ভুংভাং কাছিরাম(৩) :: সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ড. পল ক্রেইগ রবার্টস তার ‘পশ্চিমা সভ্যতায় আইনের শাসন’ শীর্ষক নিবন্ধে বলেছেন, ‘জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে আইনের শাসন অত্যন্ত জরুরি। আইন যেমন জনকল্যাণকামী হওয়া প্রয়োজন, তেমনি কোর্টগুলোও নিরপেক্ষভাবে জনগণের সেবা করা প্রয়োজন
তিনি আইন ও কোর্টের কার্যক্রমের ওপর বিশদ আলোচনা করে বলেছেন, সেই আইন জনবিস্ফোরণ ঠেকায়, যা কল্যাণকামী। যদি আইন ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রণয়ন হয় এবং তা রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে প্রয়োগ করতে হয়, সে আইন জনবিরোধী হয়ে থাকে। এমন আইনের শাসনে ন্যায়ের অবস্থিতি থাকে না এবং জনপ্রতিরোধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। ক্ষমতালোভীরা এমন অবস্থাই কামনা করে। এমন অবস্থায় দেখা যায়, আইনের শাসনের নামে আইনভঙ্গ সরকারই করে থাকে। এর জন্য দায়ী করা হয় প্রতিবাদী প্রতিপক্ষকে। ফলে সামাজিক অশান্তি বিরাজ করে সব সময়। এতে জনগণের ক্ষতি বা কষ্ট হলেও সরকারের সুবিধা হয়।
কারণ, এমন ক্ষেত্রে সরকারের অন্যায়কারীরা আইনের আশ্রয় পায় এবং জনগণ প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। আর এমন অবস্থায় সত্যিকারের অপরাধীরা সরকারের সাথে লীন হয়ে তাদের কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিনের সংবাদে ভয়াবহ মৃত্যু ও ধ্বংসের খবর এলেও তা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তখন পুলিশের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় এবং কেউ কেউ এই অবস্থাকে ‘পুলিশি রাজ্য’ বলে বর্ণনা করে থাকেন।
ড. রবার্টস লিখেছেন, ‘এমন পুলিশি রাষ্ট্র তখনই কায়েম হয় যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় শক্তির ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকেন। রাষ্ট্রশক্তির এই অংশের সদস্যদের ক্ষমতাবানেরা কখনো তাদের অপকর্মে বাধা দেন না বা বাধা দিলে তাদের ক্ষমতার সময় স্বল্প হয়ে যায়।’ তাই তিনি মন্তব্য করেছেন- ‘এমন পরিস্থিতিতে আইন জনগণের রক্ষাকবচ না হয়ে ক্ষমতাসীনদের অস্ত্রে পরিণত হয়।’
নিজের ঘটনাগুলো একটু মিলিয়ে নিনঃ
ঘটনা নংঃ১
ঘটনা নংঃ২
ঘটনা নংঃ৩
ঘটনা নংঃ৪
ঘটনা নংঃ৬
ঘটনা নংঃ৮
ঘটনা নংঃ১০
উপরের ভিডিও গুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিন, ডক্টর বরার্টের কথার সঙে একমত কি না, বাংলাদেশ হয়ে গেছে পুলিশি রাষ্ট্র? উপরের ভিডিও গুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিন, ডক্টর বরার্টের কথার সঙে একমত কি না, বাংলাদেশ হয়ে গেছে পুলিশি রাষ্ট্র?