অযথা টেনশন? জেনে নিন টেনশন কমানোর উপায়
আপনার কি কারণে, অকারণে টেনশন হয়? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তা হলে অবশ্যই সাবধান হন। এই অযথা টেনশনই কিন্তু ডেকে আনে গুরুতর সব শারীরিক সমস্যা। হার্ট, লিভার, কিডনির অসুখ ডেকে আনতে পারে টেনশন। এ দিকে লাভ কিছুই নেই। টেনশন শুধুই স্ট্রেস বাড়ায়। ফলে জীবন আরও জটিল হয়। জেনে নিন টেনশন থেকে কী ভাবে দূরে থাকবেন।
টেনশন কাটানোর জন্য রিল্যাক্স করা দরকার-
১। মাসাজ- যদি সময় থাকে তবে ছোট্ট করে একটা মাসাজ নিয়ে নিন। এতে পেশি শিথিল হবে। টেনশন কমবে। সময় না থাকলে নিজেই ঘাড়ে, কাঁধে, কানের পিছনে হালকা আঙুলের চাপে মাসাজ করতে থাকুন।
২। হিট থেরাপি- গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন, বোতল অথবা ব্যাগে গরম জল ভরে ঘাড়, কোমর, কাঁধে আস্তে আস্তে সেঁক দিন। এতে টেনশনও কমবে, ব্যথা থাকলে তা-ও দূর হবে।
৩। স্নান- হালকা গরম জলে স্নান করলে যে কোনও সময়ই আরাম লাগে। ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় জল গরম করে ভাল করে স্নান করে নিন। টেনশন দূর হবে।
৪। হাঁটা- অফিসে কাজের অনেক চাপ থাকলে বা কোনও কারণে মাথা গরম হলে কী করবেন? চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হেঁটে আসুন। হাত, পা নাড়াচাড়া করলে, সচল থাকলে হালকা লাগে। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়ে স্বস্তি পাবেন। টেনশন কমাতেও এই হাঁটা কাজে আসবে।
৫। স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ- শরীরে অক্সিজেনের অভাবে পেশি শক্ত হয়ে গেলে টেনশন বেশি হয়। তাই হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন যাতে পেশি শিথিল ও সচল হয়। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে, রক্ত চলাচল ভাল হয়।
৬। সহজ যোগ ব্যায়াম- যোগ ব্যায়াম করলে টেনশন কমে। কিন্তু অভ্যাস না থাকলে হঠাত্ করে করতে যাবেন না। হালকা ব্রিদিং, বজ্রাসন, পবনমুক্তাসনের মতো সহজ কিছু আসন করুন।
৭। জল- ডিহাইড্রেশন টেনসন বাড়ায়। দেখবেন নার্ভাস লাগলে গলা শুকিয়ে যায়। তাই টেনশন হলে অল্প অল্প করে জল খেতে থাকুন।
এ ছাড়াও টেনশন দূরে রাখতে যে জিনিসগুলো প্রতি দিন করবেন-
৮। ঘুম- ঘুমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ নয়। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম যেন হয় দিনে। না হলে মাথা কাজ কম করবে। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে টেনশন বেশি হবে।
৯। ডায়েট- খাওয়া, দাওয়া ঠিকঠাক ও নিয়মিত করবেন। শরীরে অস্বস্তি যেমন টেনশন বাড়ায়, তেমনই খালি পেটে থাকলেও মাথা কাজ করে না।
১০। স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন- নিজেকে বোঝান টেনশন করে কোনও লাভ নেই। চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। তা টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন। মাথা ঠান্ডা রাখলে অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান করে ফেলা যায়।