৭ শর্তে ৩ ঘণ্টা সমাবেশ
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। ৭ শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ও বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে পারবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে দুই দলকেই বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে এই সমাবেশ শেষ করতে হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সমাবেশ করার অধিকার প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয়, জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত যাতে না হয় দুই দলই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।’
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে উল্লেখ করে উপপুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি, সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
সমাবেশের শর্তগুলো হলো- দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না, সমাবেশ করতে গিয়ে রাস্তাঘাট আটকে যানজট তৈরি করা চলবে না, ফেস্টুন-ব্যানারের আড়ালে লাঠি বা কোনো ধরনের অস্ত্র বহন করা যাবে না, পুলিশের বেঁধে দেওয়া চৌহদ্দির মধ্যেই সমাবেশ সীমিত রাখতে হবে, মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না।
৫ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের ২ বছর পূর্ণ হবে। এই দিনটিকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এটিকে গণতন্ত্রের হত্যা দিবস পালন করে থাকে। এ নিয়ে দিনটিতে সোহরাওয়াদী উদ্যানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষণা করে দল দুটি।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলা শহরেও ওইদিন সমাবেশ করবে বলে জানায় বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে এ ঘোষণা দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও একই স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে দুই দলের সমাবেশ।