মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণ কাজের যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি গত বছরের ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরের পরে চলতি বছরের ৯ এপ্রিলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথম তিন বছর ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরো বাড়ানো সম্ভব হবে। নুমালীগড় রিফাইনারি ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য ডিজেল সরবরাহ করবে। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে এ সময় বর্ধিত করা যেতে পারে।
পাইপলাইন ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দুটিও উদ্বোধন করেন।
ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের অধীনে ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ এ দু’টি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মিত হলে সমন্বিত ও গতিময় ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তনের মাধ্যমে শহরতলী এবং অন্যান্য জেলার যাত্রীদের রাজধানী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প দু’টিতে ভারতীয় এলওসি’র বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
« ডা:নজরুল হুসাইন মোল্লাকে অভিনন্দন (পূর্বের সংবাদ)