Main Menu

নেপালে বিধ্বস্ত বাংলাদেশি বিমান, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

+100%-

ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত বাংলাদেশি বিমান। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল ইউএস-বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগেই বিমানটি ‘অনিয়ন্ত্রিত’ হয়ে পড়ে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর। রানওয়ের কাছে একটি ফুটবল মাঠে সেটি ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে। আগুন ধরে যায় গোটা বিমানে। অধিকাংশ যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তরফে মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। ছিলেন ৪ ক্রু মেম্বার। অর্থাৎ মোট ৭১ আরোহী।

যে ভাবে প্রায় ধ্বংসস্তৃপে পরিণত হয়েছে বিমানটি এবং যে রকম লেলিহান শিখা গ্রাস করেছিল সেটিকে, তাতে অধিকাংশ আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে বিধ্বস্ত বিমান থেকে বাকি যাত্রীদের বার করে আনার কাজও শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। তবে তাঁদের কেউ আর জীবিত কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি দগ্ধ মৃতদেহ বার করে এনেছে উদ্ধারকারী দল। ৫০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট নয়। অবতরণের আগে বিমানের চাকায় গোলোযোগ দেখা দিয়েছিল বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় বলে, অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিমানটি দুপুর ২টো ৪০ পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) আওতায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা এটিসি-র আওতা থেকে ওই বিমানটি বেরিয়ে যায় নেপালের বিরাটনগরের ১৮ কিলোমিটার আগে, কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন এখন উদ্ধারকাজেই সবচেয়ে জোর দিচ্ছে। আপাতত কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে কোনও বিমান উড়ছে না। কোনও বিমান আপাতত কাঠমান্ডুতে অবতরণ করবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।সূত্র: আনন্দবাজার

 






Shares