জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
১২ নভেম্বর, সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘স্বস্তির বিষয় বিএনপি, ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অামরা তাদের সিদ্ধান্তর অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ অামাদের বিশ্বাস ছিল সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তারই অালোকে নির্বাচন কমিশন তফসিল পুনঃনির্ধারনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার সকালে তফসিল পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে কমিশনের বৈঠক হয় উল্ল্যেখ করে সিইসি বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কারণ তাদের লিখিত প্রস্তাব পেতে আমাদের দেরি হয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা আজ সকালে বসেছিলাম।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা কেবল মনোনয়নপত্র দাখিল এবং নির্বাচনের অনুষ্ঠানের তারিখ বলব। মাঝখানের যে তারিখগুলো সেগুলো কমিশন বসে আগামী কালকের মধ্যে জানাতে পারব। মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর এবং ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর।’
জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের কথা ছিল।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে সংসদ নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন জোট। এই দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন পেছানো হবে কি না, তা সোমবার জানানো হবে বলে ১১ নভেম্বর, রবিবার সন্ধ্যায় সিইসি জানিয়েছিলেন।
জাতীয় ঐক্যফন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রবিবার ইসিতে জমা দেয় জোটটি।
চিঠিতে বলা হয়, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী স্বল্প সময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ কঠিন হবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সৎ ও সুশীল প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার প্রয়োজনে আমরা মনে করি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৬ নভেম্বর করা হোক।’
‘মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২২ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ৫ ডিসেম্বর করা হোক। অনুরূপভাবে ভোট গ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৯ ডিসেম্বর করার অনুরোধ করছি।’
এ ছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতেও ইসির কাছে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়।