Main Menu

সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল::প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) চেয়ারম্যান সাংবাদিক ও কলামনিস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সন্তান হাবিবুর রহমান মিলন আর নেই ।  
তাঁর মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে সরাইল প্রেসক্লবে মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, এম এ মুসা, বদর উদ্দিন,সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, জুলকার নাঈন,জহিরুল ইসলাম, আবদুল করিম, মোহাম্মদ মাসুদ, যতিন্দ্র মোহন চৌধুরী, শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
বক্তারা হাবিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্বার চির শান্তি কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, হাবিবুর রহমান মিলন ১৯৩৪ সালে ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন সরাইল প্রেসক্লাবের আজীন সদস্য।
শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান মিলন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক। আশি ও নব্বইয়ের দশকে সন্ধানী ছদ্মনামে ইত্তেফাকে তার নিয়মিত কলাম ‘ঘরে-বাইরে’ ছিল পাঠকপ্রিয়।
হাবিবুর রহমানের মেয়ে অদিতি রহমান জানান, তার বাবা কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত ২ জুন হাসপাতালে ভর্তি করার পর অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।
অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাত ৮টার দিকে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় ।
হাবিবুর রহমানের মরদেহ তার ইস্কাটনের বাসায় রাখা হয়েছে। হাবিবুর রহমান মিলনের পাঁচ মেয়ে এক ছেলের মধ্যে এক মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। তিনি দেশে পৌঁছালে সোমবার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে এই সাংবাদিককে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন। সাংবাদিকদের দাবি আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি ছিলেন সরব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সন্তান হাবিবুর রহমান মিলনের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৬৩ সালে, দৈনিক সংবাদে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। এক দুর্ঘটনায় বড় ভাই আহমেদুর রহমানের মৃত্যুর পর সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন।
আহমেদুর রহমান ছিলেন ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক। ভিমরুল ছদ্মনামে তার কলাম সে সময় যথেষ্ট পাঠকপ্রিয় ছিল।






Shares