৪.৮৩ জিপিএ পেয়েও বাবা মায়ের বকাবকিতে কিশোরের আত্মহত্যা ও সমাজের কাছে কিছু প্রশ্ন
আরাফাত শাওন, অন্য দশটা ছেলের মত সেও এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল । কিন্তু সে এ+ পাইনি । এইবার কমার্স থেকে পরীক্ষা দিয়ে 4.83 পেয়েছিল। কিন্তু বাবা-মায়ের বকা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছে।
আত্মহত্যার আগে এই সমাজের মানুষগুলোকে ও দেশের রাজনীতিবিদদের রাজনীতি সম্পর্কে বিষোদগার করে গিয়েছে। এমনকি ছোট্ট ছেলেটা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। সবশেষে তার কাছে কারা কারা টাকা পায় তারও একটি হিসাব দিয়ে গেছে।
আমাদের এই দেশে সবকিছুর জন্য ট্রেনিং সেন্টার আছে শুধুমাত্র বাবা-মা হওয়ার কোন ট্রেনিং সেন্টার নেই। ট্রেনিং ছাড়া হাজার হাজার অপদার্থের দল বছর বছর বাবা-মা হয়ে যাচ্ছে। তাদের এতই মান ইজ্জত, এতই সমাজভীতি যে A+ এর জায়গায় 4.83 পেলে সন্মান চলে যায়; পেটের সন্তানের ভালো রেজাল্টের উপরে তাদের সন্মান অর্জন বিসর্জন নির্ভর করে!!
সেইসব আত্মীয় স্বজনদেরও গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিৎ, যারা নিজের পশ্চাতে গু লেগে থাকলেও পরের পশ্চাৎ শুঁকে দুর্গন্ধ নিতেই ভালবাসে.. আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এইশ্রেণীর পাঁঠাগুলোরও নিজের থেকে পরের সন্তানের রেজাল্টের ভালো খারাপের টেনশন লেগে থাকে..
রাজনীতিগত যেই ব্যাপারটা ছেলেটা তুলে ধরেছে, তার কোন জবাব কি কোন রাজনীতিবিদ দিতে পারবে? সরকারের রাজনৈতিক সুবিধামত পাশের হার বাড়ানো কমানোর ব্যাপারটা কি তারা অস্বীকার করতে পারবে?
আমি আরো জানতে চাই আজকে সেই বাবা মা কি করছে, কি দিয়ে নাশতা করে, কি দিয়ে ভাত খায়; যাদের ঠুনকো সন্মান A+ এর উপর নির্ভর করে?? যাদের চাপে সন্তানকে আত্মহনন করতে হয়, তাদের এখন সন্মানে লাগে না? আত্মীয়স্বজনের লজ্জায় এখনও তারা গলায় দড়ি দেয় নাই কেন?
তারপরও তারা আশার মাত্রা বাড়িয়েই যাবে, তারপরও তারা কাগজে কলমে শিক্ষার মিথ্যা হার দেখিয়ে দেশের উন্নতি দেখিয়েই যাবে। তারপরও তারা পেছনে লেগেই থাকবে খোঁচা মারার জন্য, তারপরও তারা বাসে আগুন দিয়ে হরতাল করবে, তারপরও তারা প্রতি বছরেই আত্মহত্যা করবে। তারপরও তারা.. ..
তার লেখা ডায়েরির পৃষ্ঠাগুলো নীচে দেয়া হল::