৮০ ভাগেরও অধিক সনদ হাবলা উচ্চ বিদ্যালয়ের, কর্তৃপক্ষ নিরব॥ সরাইলে ‘দফতরি কাম নৈশ প্রহরি’ নিয়োগ
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল :: সরাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ‘দফতরি কাম নৈশ প্রহরি’ পদে দরখাস্থ আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার ছিল আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৭টি পদের জন্য আবেদন করেছে মোট ১৫৮ জন প্রার্থী। অধিকাংশ ভূয়া সনদের ব্যবহার। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এ পদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেছে। সর্বশেষ বিভিন্ন ইউনিয়নের অবশিষ্ট ২৭ টি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পক্রিয়া চলছে। এ পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে অষ্টম শ্রেণী পাস। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা সনদ প্রদানের বিষয়টি বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ কারনে অষ্টম শ্রেণি পাসের প্রকৃত সনদ ম্যানেজ করা এখন জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য চাকুরি প্রার্থীরা বাধ্য হয়ে অনৈতিক পথে সনদ সংগ্রহ করে থাকেন। আর সুযোগে সনদ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা কামাই করে নেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ি। পড়া লেখা না জানা অথবা পঞ্চম শ্রেণির গন্ডি পেরুতে না পেরেও অনেকেই হয়ে গেছেন অষ্টম শ্রেণি পাস। রহস্যজনক কারনে কর্তৃপক্ষ জেনে শুনে ওই অবৈধ সনদ গুলোকে বৈধতা দিয়ে চাকুরি দিয়েছেন। গত নিয়োগ গুলোতে ৮৫ ভাগ সনদ ছিল হাবলা উচ্চ বিদ্যালয় নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত। বিদ্যালয়টির অবস্থান জেলা শহরের দক্ষিণে। এবারও একই অবস্থা। ৮০ ভাগেরও অধিক সনদ ওই বিদ্যালয়ের দেওয়া। অনেকেই জানতে চান, তবে কি সরাইলের ছেলেরা এখানে ১৩-১৪টি বিদ্যালয় রেখে শুধু অষ্টম শ্রেণি পাস করার জন্য হাবলায় চলে যায়? নাকি ফাঁকি। অধিকাংশের মতে এটা নিচক ফাঁকি। সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ ছাইদুর রহমান উভয় নিয়োগে হাবলার সনদ ব্যবহারকে শতভাগ অনিয়ম উল্লেখ করে বলেন, আমি বিষয়টি জেলার সভায় আলোচনা করেছিলাম। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি। সরাইলের ইউএনও অথবা টিও ২/৩টি ভূয়া সনদের নমুনা সংযুক্ত করে জেলায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেটা হয়নি। এ বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করা দরকার।