Main Menu

বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ হাওড় বাওড় অসংখ্য নদ, নদী বেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০কি.মি. উত্তরে অবস্থিত এই উপজেলা। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদ, নদী, খাল, বিল,পুকুর,ডোবা ও জলাশয় এসব জলাশয় থেকে ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মিঠাপানির মাছ। এক সময়ে উক্ত জলাশয় গুলোতে দুই-আড়াইশ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রায় ২০-৫০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ নদ, নদী গুলোর নাব্যতা হ্রাস, খাল বিল বরাট করে রাস্তাঘাট ও বাড়ীঘর নির্মাণ এবং মাছের আশ্রমের পার্শ্ববর্তী জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভাব নির্মাণ করে মাছ চলাচলে বাধা সৃষ্টি, পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প বাস্তাবায়ন, ডিম ওয়ালা নিধন, বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন, কারেন্ট জাল ও নেট জালের ব্যবহার নদী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্যবহার ইত্যাদি এছাড়া জেলেরা জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ রেনু পোনা নির্বিচারে ধরার কারণে মাছের বংশ বৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানাগেজে বর্তমানে মিঠা পানির দেশীয় প্রজাতির সামন্য কিছু মাছ নাসিরনগরে বিভিন্ন জলাশয়ে টিকে আছে। এ সমস্ত মাছের উৎসস্থল থেকে অতিথিতে বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করা সম্ভব হলেও বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিলুপ্ত প্রায় এসব মাছের মধ্যে রয়েছে মলা, কয়েক প্রকার দাড়কীনা, নাপিত, কই, গুটুম, বাঘা গুটুম, চাপিলা, পাপদা, রিটা, নানদিলা, আইড়, ষোল, গজার, বোয়াল, শেরপুটি, বাছা, চান্দা, ইত্যাদি । এক সময়ে নাসিরনগর বিলগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ আহরণ করা হত। উপজেলা বাসীর চাহিদা মিটিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ শহরাঞ্চলে রপ্তানি করে বিপুল অর্থ আয় হতো। নাসিরনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন খামার ও পুকুরে চাষ করা মাছে বাজার ভরপুর থাকলেও হাওড়ের কিছু বড় প্রজাতির মাঝে মধ্যে বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু মাছ গুলোর সল্প আয়ের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মাছ বিক্রেতা জানান হাওড়ের মাছগুলোর দাম খামারের মাছগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া হাওড়ের মাছতো খুব একটা পাওয়া যায় না। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এডঃ মোঃ ছায়েদুল হক দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে নদী খনন সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য কিছুটা সংরক্ষণ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।






Shares