কিছু কুচক্রী মহল আওয়ামীলীগকে ইসলাম বিদ্ধেষী হিসাবে আখ্যায়িত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে-মোকতাদির চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেশে মদের ব্যবসা নিসিদ্ধ করেছেন। কাকরাইল মসজিদকে সম্প্রসারিত করেছেন। বিশ্ব এজতেমার জন্য তুরাগ নদীর তীরের জায়গা বরাদ্ধ করেছেন। এসমস্ত কাজ করে তিনি আজীবন পবিত্র ধর্ম ইসলামের খেদমত করে গেছেন। আর এখন তারই সুযোগ্য কণ্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশে ইসলাম ও অলেম ওলামার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ কিছু কুচক্রী মহল নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সব সময় ইসলাম বিদ্ধেষী হিসাবে আখ্যায়িত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কখনও ইসলামের বিরোধীতা করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। মোকতাদির চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় জেলা ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রসার শতবার্ষিকীর সম্মেলনে উপরক্ত কথা বলেন।
সম্মেলনে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সদর হযরত মাওলানা আশেকে এলাহী (মাঃদাঃ) এর সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার সহ দেশ বরেন্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিতিতে বক্তব্যে তিনি আরো বলেন আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বিশ্ব বিখ্যাত দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেম হযরত মাওলানা আসাদ মাদানী (রঃ) গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছিলেন। আমাদের সরকার তাকেঁ মরন্তোর সম্মানা প্রধান করেছেন। তঃকালিন সময়ে দেওবন্দের আলেম ওলানাগন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। কারন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ন্যায়ের যুদ্ধ। আমাদের যুদ্ধছিল পাকিস্থানী স্বৈরশাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এই যুদ্ধের একজন সৈনিক হিসাবে আমি আজে যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে প্রস্তুুত। দেশে এখন যারা সন্ত্রাস করছে। বোমা হামলায় সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তাদের প্রতিরোধ করতে আপনাদেরও ভুমিকা রাকতে হবে। তিনি আরো বলেন শান্তির ধর্ম ইসলাম কোন ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্টি বিশেষের হতে পারে না। ইসলাম বিশ্ব মানবতার ধর্ম। সকল মানুষের ধর্ম। আমরা সকলে এই ধর্মের অনুসারী। ধর্মী বিধিবিধান পালনে আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই। আমরা আপনাদের কাছে বন্ধুত্বের হাত নিয়ে এসেছি। আপনাদের হাসি মুখে তা গ্রহন করা উচিৎ। কারো সাথে ঝগরা ফাসাদ বা লাঠি সোটা নিয়ে বন্ধুত্ব করা যায়না তা সকলকে মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের এই মহা সম্মেলনে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। আপনাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করার নিদের্শ দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমত সম্মেলনে আগত দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্মানিত আলেমদের ভিসা প্রসেসিং সহ এই সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওঃ মোঃ ইউনুছ (রঃ) ফখরে বাঙ্গাল হযরত মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম (রঃ), বড় হুজুর হযরত মাওঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম (রঃ), মুফতিয়ে আজম হযরত মাওঃ মোঃ মুফতি নুরুল্লাহ (রঃ) এবং সদ্য জান্নাত বাসী হযরত মাওঃ মোঃ রহমউল্লাহ (রঃ) কথা স্বরন করে বলেন আজকের এই মহা সম্মেলনের মাহেন্দ্র ক্ষনে উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে ধণ্য মনে করছি। তিনি জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রসার শত বাষিকী সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বলেন একটি প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ উদযাপনকরা নিঃসন্দেহে আনন্দায়ক ও প্রশংসাযোগ্য। আমি আশা প্রকাশ করি ইসলামের মহান দাওয়াত নিয়ে কেয়ামতের আগপর্যন্ত জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামের খেদমত করে যাবে।