ট্রেনে ককটেল হামলা, নিজ গুলিতে পুলিশ আহত, বৃষ্টির মত ককটেল বিষ্ফোরণ ১৫ যানবাহন ভাংচুর: জনজীবন স্থবির
শামীম উন বাছির::টানা অবরোধ ও হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সাথে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে। ভাংচুর করা হয় ১৫টি যানবাহন। এতে শহরজুরে তীব্র উদ্বেগ উৎকণ্ঠ ও আতংক ছিড়িয়ে পড়ে। রবিবার সকালে ঢাকগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রেলগেইট এলাকায় হরতালকারীরা কয়েকটি ককটেল ছুড়লে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। কালিবাড়ি মোড় ও রেল গেইট এবং কুমারশীল মোড়ে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা টহল পুলিশের উপর ১২টি হাত বোমা ছুড়ে দুর্বত্তরা। দুপুরে শহরের কলেজ রোড, ডাক বাংলো মোড়, কাউতলী, কান্দিপাড়া, কালিবাড়ি মোড়, শিমরাইলকান্দি, পাওয়ার হাউজ রোড, টিএ রোড, বোর্ডিং মাঠ, টেংকের পাড় এলাকায় অর্ধশতাধিক হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। দ্রুত জনশুন্য হয়ে যায় শহরের পথঘাট। এদিকে, পুলিশের সাথে পাওয়ার হাউজ রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি অটো রিক্সা ভাংচুর করে হরতালকারীরা। পুলিশ বিপুল সংখ্যক রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অন্যদিক, দায়িত্বপালন কালে পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নং-১১১৩ আনিছ মিয়া (২৫) নিজের শর্টগানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তাকে ব্রাহ্মণনবাড়িয়া সদর হসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতে বাইপাস এলাকার মারকাস পাড়া রাস্তায় আগুন এবং হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এসময় বাস, অটোরিক্সা, সিএনজিসহ ১০ গাড়ি ভাংচুর করে এবং শেরপুর মাজার গেইট এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে দুর্বত্তরা। তবে এসময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি’র ১৬জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে।