Main Menu

আশুগঞ্জে সরকারী চাল সংগ্রহের নামে চলছে কমিশন বাণিজ্য

+100%-

প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে সরকারি চাল সংগ্রহের নামে এখন চলছে কমিশন বাণিজ্য। এবার ৬ হাজার ৬শ মেট্রিক টন সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহ করবে। এবার সরকারি ভাবে চালের মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি কেজি ৩২ টাকা। এ অভিযান চলবে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে প্রতি কেজিতে ৪০ পয়সা  থেকে ১ টাকা পর্যন্ত কমিশন আদায় করে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিল চুক্তি ও মিল লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য প্রতি মিল থেকে ১০/১৫ হাজার টাকা উৎকোচ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায় দেশের অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম হিসাবে আশুগঞ্জ বন্দর আনেক আগ থেকেই পরিচিত। এ উপজেলায়  ৪ শতাধিক চাতাল কল রয়েছে। সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহের একটি বড় অংশ আশুগঞ্জ থেকে সরকার চাল ক্রয় করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার চলতি আমন মৌসুমে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম সরকারি ভাবে ধান চাল সংগ্রহ গত ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি ২৮ তারিখ পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে এবার ৬ হাজার ৬শ মেট্রিক টন সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহ করার অভিযানে নেমেছে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। ৪০ পয়সা কমিশনের পাশপাশি চুক্তি ও নবায়নের জন্য দিতে হচ্ছে ১০/১৫ হাজার টাকা। পাশপাশি চলছে চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে প্রতি বছর যে বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে তা হল কমিশন বাণিজ্য নিয়ে। প্রতি কেজি চালের জন্য দিতে হয় ৪০ পয়সা করে। এবার সরকারি মূল্য ৩২ টাকা হলে ও খাদ্য বিভাগ স্থানীয় মিল মালিকদের সাথে সখ্যতা করে নিম্মমানের চাল ২৮/৩০ টাকা মূল্যে ক্রয় করেও বিল দিচ্ছে সরকারি মূল্য ৩২ টাকা দামে। ফলে প্রতি বছর কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য চলে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে। আর এই কোটি টাকার ভাগ চলে উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা হয়ে মন্ত্রনালয়ে। আরও অভিযোগ রয়েছে চাল সংগ্রহ অভিযান চলে পুরো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। আর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে থাকে আশুগঞ্জের চাতাল মালিক ও চাল ব্যবসায়িরা। তবে এই সিন্ডিকেটে রয়েছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের  সিন্ডিকেট ব্যবসা। কমিশন বানিজ্য নিয়ে গত সরকারের আমলে মিল মালিক জসিম উদ্দিন খাদ্য মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করলে তৎকালিন খাদ্য মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এক নির্বাহী আদেশে  তৎকালিন খাদ্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে আশুগঞ্জ থেকে বদলি করা হয়।যিনি এক টানা ২৪ বছর একই পদে আশুগঞ্জে চাকুরি করে গেছেন। । তারপর থেমে নেই চক্রটি। তবে বর্তমান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকতা মো. গিয়াস পাটোয়ারি যোগসাজসে আবারও এবার নেমে পড়েছে কমিশন বাণিজ্যে। তবে স্থানীয় খাদ্য বিভাগের কর্মচারিরা ও জড়িয়ে পড়েছে এই কমিশন বানিজ্যে। নাম প্রকাশে একাধিক মিল মালিক জানান খাদ্যগুদাম  যে ভাবে চলে আমরা সেই ভাবেই চলি। কমিশন বাণিজ্য নিয়ে লিখলে কোন কাজ হবে না এই টাকার সবাই পেয়ে থাকে। আরও জানান নিম্মমানের চাল কম দামে ক্রয় করলে বিল দেওয়া হয় সরকারি নির্ধারিত মূল্যে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস পাটোয়ারি  এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজা মো. মহসিন জানান আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।






Shares