সরাইলে ওরসের নামে রাতভর জুয়া
মোহাম্মদ মাসুদ ::সরাইলে পীরের মাজারকে কেন্দ্র করে ওরসের নামে রাতভর চলেছে জুয়া। সেই সাথে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে মেয়েরা গেয়েছে গান। দর্শকদের অধিকাংশ উঠতি বয়সের যুবক। বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের সংখ্যাও কম নয়। মেলা কমিটি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বসেছে জুয়ার আসর জানিয়েছেন জুয়ারিরা। মাজারে অসামাজিক কাজ বন্ধের প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতে চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি মসজিদে সভা করেছে স্থানীয় আলেম ওলামারা। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মাইক বন্ধ হলেও জুয়া ছিল রমরমা। গত শুক্রবার রাতে সরজমিনে দেখা যায়, করাতকান্দি গ্রামের আহমদ শাহ’র মাজারে জ্বলছে লাল নীল বাতি। পাশে চলছে ভক্ত বৃন্দের খাবার। বাড়ির পাশে খালি জমিতে জমেছে মেলা। বড় প্যান্ডেলের নীচে চলছে গান। শিল্পি তিনজন মেয়ে। তারা হেলে দুলে গাইছে গান। গানের তালে নাচছে ৪-৫ শতাধিক দর্শক। গানের আসরের ঠিক পেছনে দেদারছে চলছে জুয়া। খেলছে মধ্য ও যুবক বয়সের লোকজন। পাশেই ঘুরতে দেখা গেছে থানার ডিএসবি শাখার জনৈক কর্মকর্তাকে। শুক্রবার ছিল ওরসের দ্বিতীয় দিন। মাইকে গান ও প্রকাশ্যে জুয়ার আসর দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয়, উপজেলা এবং জেলা শহরের আলেমরা। পরে তারা রাতে মসজিদে বসে সভা করে। প্রকাশ্যে এমন অসামাজিক কাজ বন্ধে আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে থাকে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান দ্রুত ওই গানের আসরের মাইক বন্ধ করে দেন। কিন্তু রাত দশটার পর সরাইলের তালিকাভুক্ত জুয়ারিরা দেদারছে চালায় জুয়া। জুয়ারিরা জানায়, কমিটির লোকজনকে মোটা অংকের টাকা দিয়েই আমরা দুইদিন ধরে এখানে জুয়া খেলছি। সেই সাথে ম্যানেজ করতে হয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন সেকটর। ওই ওরসের পরিচালক মরহুম আহমদ শাহ’র ভাতিজা মোঃ রছমত মিয়া জুয়ারিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। তবে তার প্রতিবেশী একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরা সব সময় মাজারে জুয়ার বিরোধিতা করে আসছি। কিন্তু রছমত টাকা পাওয়ার জন্য এখানে জুয়ারিদের দাওয়াত করে নিয়ে আসে। তার আসল উদ্যেশ্য ব্যবসা।