২মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন শুরু ১’শ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি
শামীম উন বাছির ::যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে দীর্ঘ ২মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১২’শ মেট্রিকটন করে প্রায় ১’শত কোটি টাকার ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় শূণ্যের কোটায় রয়েছে কারখানার নিজস্ব উৎপাদন মজুদ। তবে আমদানিকৃত সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় সার সংকটের সম্ভাবনা নেই বলে জানান কর্তৃপক্ষ। চলতি র্অথবছরে ১লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিসিআইসি। কিন্তু দীর্ঘ দিন কারখানা বন্ধ থাকায় বিগত ৬মাসে ৪২ হাজার ৭শ মেট্রিকটন ইউরিয়া উৎপাদন হয়েছে। এতে করে চলতি অর্থ বছরে কারখানার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আংশকা রয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে গত অর্থ বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগষ্ট পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্যাস সরবরাহ দেয়া হলেও প্রথম কয়েক দিন ছিল গ্যাসের চাপ, পরে বয়লার ইউনিটের সুপার হিটার, পাম্প নষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে ১০ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর থেকে সিংগ্যাস কম্প্রেসারে রোটরে ত্রুটির কারনে কারখানার বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্পেসার পার্টস হিসেবে রক্ষিত অপর একটি রোটর ইতালি থেকে মেরামত শেষে সংযোজনের পর ২ মাস পর গত ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে কারখানার স্টার্ট আপ শুরু হয়। পরে আজ শুক্রবার সকালে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।
এদিকে কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার নিজস্ব ইউরিয়া মজুদ দাড়িয়েছে মাত্র ৬‘শ ৩৯ মেট্রিক টন। তবে আমদানিকৃত সারের মজুদ ৪৭‘হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন এবং প্রতিদিন কারখানায় আমদানিকৃত আরো সার আসছে। ফলে কৃষক পর্যায়ে সারের ঘাটতি বা সার সংকটের সম্ভাবনা নেই বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) প্রকৌশলী ওমর খৈয়াম জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি শেষে কারখানার সব কটি ইউনিট চালু করার পর আজ শুক্রবার সকালে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হযেছে। কারখানার সারের মজুদ সর্ম্পকে মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারখানার নিজস্ব মজুদ ৬৩৯ মেট্রিক টন। তাছাড়া আমদানিকৃত সারের মজুদ রয়েছে ৪৭‘হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন, আরো সার আসছে। ফলে সার সংকটের সম্ভাবনা নেই।