সুলতানপুরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত- ৩০



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পুরানো বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষের ৮/১০টি ঘর ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর ও হাবলাউচ্চ গ্রামবাসীর মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাতে উপজেলার সেন্দ বাজারে সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের মহসিন মিয়া ও শিলাউর গ্রামের খায়ের মিয়ার লোকজনের মধ্যে কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই গ্রামের দাঙ্গাবাজ লোকেরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ৩০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে আবু মিয়া- (১৪), দেলোয়ার হোসেন-(২৫), মোতাহার মিয়া-(৪০), আলকাছ মিয়া-(২০), মনির হোসেন-(৩০), গোলাম রব্বানী- (৩৮), আক্কাস আলী-(১৭), আবুল কালাম-(৩৩), মতিন মিয়া-(২৫), জিতু মিয়া-(৪৫), বেবী নূর- (২৮), রিনা বেগম-(৩০), আবুল হোসেন-(২৮) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। রাতে বেলা আহত গোলাম রব্বানীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ ও শিলাউর গ্রামবাসীর মধ্যে গত ১ মাসের ব্যবধানে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়েছে।