সরাইলের নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত, তলিয়ে গেছে ৩’শ হেক্টর রোপা আমন



গত কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। এখনো অব্যাহত রয়েছে পানি বৃদ্ধি। তলিয়ে গেছে উপজেলার তিন’শ হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা। ভীষন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের লোকজনের চলাফেরার প্রধান বাহন এখন নৌকা। সরজমিনে দেখা যায়, নোয়াগাঁও, কালিকচ্ছ, অরুয়াইল পাকশিমুল চুন্টা শাহজাদাপুর ও পানিশ্বর উত্তর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সদ্য রোপনকৃত উচ্চ ফলনশীল রোপা আমন ( বিয়ার- ২, ৭, ২২,২৩, ৪৯) জাতের কয়েক’শ বিঘা ফসলি জমি। এ ছাড়া পানি গিলে ফেলেছে শাইল ধানের অধিকাংশ বীজতলা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। প্রথম দফায় পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল উপজেলার চার শতাধিক বিঘা রোপনকৃত ধানের জমি। পানি কমতে শুরু করায় অনেকটা ফিরে পেয়েছিল স্থানীয় কৃষকরা। গত এক মাস ধরে কৃষকরা দিনরাত পরিশ্রম ও চড়া মূল্যে চাড়া (জালা) ক্রয় করে জমিতে রোপন করেছিল। গাছ গুলো কাল হয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল। এখন হঠাৎ করে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় আবারও তলিয়ে যাচ্ছে জমিগুলো। অরুয়াইলের রানিদিয়া, কাকরিয়া, রাজাপুর, সিঙ্গাপুর, ধামাউড়া, দুবাজাইল বারপাইকা, পাকশিমুলের জয়ধরকান্দি তেলিকান্দি পরমানন্দপুর ফতেপুর হরিপুর বড়–ইছাড়া ষাটবাড়িয়া চুন্টার লোপাড়া ঘাগড়াজোর নরসিংহপুর বড়বুল্লা শাহজাদাপুরের নিয়ামতপুর ধাওরিয়া শাহজাদাপুর ও পানিশ্বর উত্তরের শোলাবাড়ি, শিতাহরন বড়ইবাড়ি নাইলা নতুন হাটি গ্রামের লোকজন এখন হয়ে পড়েছে নৌকা নির্ভর। ওইসব এলাকার শিক্ষার্থীরা অতিকষ্টে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। গরু মহিষ ছাগল ভেড়া এখন হয়ে পড়েছে গৃহবন্ধি। জোয়ারের পানির ঢেউয়ের আঘাতে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙ্গতে শুরু করেছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন,পানি বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। ফসলি জমি ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলব।