স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই থেকে সব খোলা, ২৩ থেকে আবার বিধিনিষেধ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। তবে এই সময়ে মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আজকের আদেশে সেই বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে এখনকার বিধিনিষেধের মতোই সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ সব যানবাহন বন্ধ এবং শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে কলকারখানা খোলা রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখন শ্রমজীবী মানুষসহ জীবিকার দিক বিবেচনা করে ঈদ ঘিরে বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময়ও সরকার করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদযাত্রা বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এ জন্য তখন দূরপাল্লার পথে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, হাজার হাজার মানুষ কড়াকড়ি উপেক্ষা করে বাড়ির অভিমুখে রওনা হয়। তাতে পথেঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফেরিঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে খরচও বেড়ে যায়।