সৌদিতে গৃহকর্তার নির্মম অত্যাচারের শিকার কসবার মাহমুদা বেগম
কসবা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কাইতলা গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম দুই সন্তানের জননীকে কসবা উপজেলা মূলগ্রামের বাউড়খন্ড গ্রামের পিতা মৃত আবু তাহেরের ছেলে মহসিন দালাল গত ২৭ফেব্রুয়ারি ২০১৭ইং সৌদির জিজান নগরে প্রেরণ করেন। বাসার কাজের জন্য মাহমুদা বেগমকে পাঠানোর পর থেকে গৃহকর্তার প্রতিনিয়ত অত্যাচারের শিকার হন মাহমুদা বেগম।
প্রবাসী মাহমুদার অত্যাচারের কথা জানতে পেরে স্বামী কাজল মিয়া বার বার বাংলাদেশের দালাল মহসিনের কাছে ছুটে গিয়ে মাহমুদাকে বাংলাদেশে ফিরে আনার জন্য আকুতি মিনতি করেন। কিন্ত দালাল কাজল ১৫ এপ্রিল ২০১৭ইং ভিতরে সমাধান করার কথা জানান।
বিদেশের মাটিতে কাজের মেয়ে মাহমুদা বেগমের অত্যাচারের ঘটনাবলি জানার পর সন্তান,স্বামী আত্বীয়স্বজন প্রতিনিয়ত কাঁদছে কিন্ত সৌদি পাষন্ড গৃহকর্তার মনে একটুও দয়া ও মায়া লাগেনি। অত্যাচারের ফলে বাসা থেকে পালিয়ে দেশের বাড়িতে ফোন দিয়ে সৌদির থানায় অভিযোগ করেও এখন বিপদে আছে মাহমুদা বেগম।
তাই বার বার দেশের মাটিতে ছেলে, স্বামী,আত্বীয় স্বজনদের কাছে ফিরে আসার জন্য ছটফট করছে মাহমুদা বেগম। মাহমুদার স্বামী কাজল মিয়া স্ত্রীর উপর অত্যাচারের কাহিনী ৬ এপ্রিল বৃহম্পতিবার বিকালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন।