Main Menu

ফলো আপ:: তানিয়ার বিয়ে হয়নি হেলিকপ্টারে আসেনি বরও

+100%-

follow_upডেস্ক ২৪::সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ষষ্ঠ শ্রেণীর সেই শিশুছাত্রী তানিয়ার বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে বরও হেলিকপ্টারে চড়ে আসেনি। গতকাল শিশুটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানটি শেষ পর্যায়ে সুন্নতে খৎনায় পরিণত হয়েছে। এতে শিশুটির বাবা হাজার লোকের মেজবান খাইয়েছেন। এতে বরের বাড়ির মেহমান এলেও বর আসেননি। তানিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। সে কসবা পৌর এলাকার বগাবাড়ি গ্রামের মো. মাহফুজ মিয়ার মেয়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্রবাসী মো. খন্দকার আলমের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর পক্ষ হেলিকপ্টার করে আসার কথা ছিল। এ কারণে কনের পিতা থানায় লিখিত ভাবে অনুমতি চেয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিশুটির বাড়িতে গিয়ে বারবার বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন। ওই গ্রামের মো. ইব্রাহিম মিয়া ও খালেক সরদার নামে দুই বৃদ্ধ বলেন, ‘বিয়া লইয়া সমস্যা অইছে। পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা অইছে। বাড়িত পুলিশ আইছে। এর লাইগ্যা অহন সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান।’ শিশু তানিয়ার বাবা মাহফুজ মিয়া বলেন; পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ে না দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন; “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি”। এত আয়োজন কি করবো? তাই ছেলে সাইমন ইসলামের সুন্নতের খৎনার অনুষ্ঠান করে ফেলেছি। এক হাজার লোক মেজবান খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বর হেলিকপ্টারে চড়ে আসার জন্য কনের বাবা থানায় লিখিত আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির বয়স কম জানতে পেরে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিয়ে দিবে না মর্মে মেয়ের বাবা অঙ্গীকার করেছেন। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির বয়স কম। তার বিয়ের বয়স হয়নি। তার কার্যালয় থেকে বিয়ে বন্ধের জন্য দুই দফা লোক পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবার থেকে জানানো হয়েছে তাকে বাল্য বিয়ে দিবে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানিয়া বগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে (পিইসি) জিপিএ- ৩.৫০ পেয়ে পাস করে। কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। কসবা পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর।






Shares