কসবায় নিরাপত্তা চেয়ে মেয়রের জিডি
কসবা প্রতিনিধি:: পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ সামাজিকভাবে হেয় ও অপমান করার শঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারন ডায়রি (জিডি) করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল। রবিবার সকালে কসবা থানায় তিনি এ সাধারন ডায়রি করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার মেয়র নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারেন কসবার তিনলাখপীর এলাকার বাছির মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন নাকি মারধরের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এ ধরণের বিষয় মিথ্যা ও কাল্পনিক। মেয়র নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রংগু মিয়া জানান, বাছির ও তাজু মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়া বিষয়টি তিনি কথা শুনেছেন। কিন্তু মেয়র এসে কাউকে মারধর করেছেন এ ধরণের অভিযোগ একেবারে সত্য নয়।
কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, ‘শনিবার দিনভর মেয়রসহ আমরা পৌর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। এক বৃদ্ধ ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধরের যে কথা বলা হচ্ছে সেটা ডাহা মিথ্যা। মূলত তিনলাখপীর গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে ওই পরিবারটিকে দিয়ে এসব কথা বলানো হচ্ছে।
পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যে এ ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। সাংবাদিকরা আমার কাছে ফোন করে জানতে চায় বাছির মিয়া নামে এক বৃদ্ধ নাকি অভিযোগ করেছে আমি মারধর করেছি। মূলত পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে কাল্পনিক কথাবার্তা বলে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, মেয়র মারধর করেছে এমন কোনো অভিযোগও আমাদের কাছে আসে নি। সরেজমিনে পুলিশ পাঠিয়ে জানতে পারি তিনলাখপীর গ্রামের বাছির ও তাজুর পরিবারের মধ্যে অর্ধ শতাধিক মামলা মোকাদ্দমা চলমান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।হাতাহাতি হয়েছে, সিরিয়াস কিছু হয় নি। তবে মেয়র এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
« নবীনগরে বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস সালামের ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত (পূর্বের সংবাদ)