কসবায় তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদীর সাংবাদিক সম্মেলন
কসবা সংবাদদাতা :: ব্রাহ্মণবাড়িযার কসবার মূলগ্রামের চন্দ্রপুর গ্রামে আগুনে পুড়ানো মামলার তদন্ত কার্যক্রম অগ্রগতি,আসামীদের গ্রেফতার না করা,আসামী পক্ষরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে জীবন নাশের হুমকি প্রদানসহ তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার দাবী জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মামলার বাদী ফিরুজ মিয়া। কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউপির চন্দ্রপুর গ্রামে একটি মোবাইল ফোন নম্বর না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটি ঘটে বলে মামলার বাদী ফিরোজ মিয়া জানান।
মামলার বাদী সংবাদ সম্মেলনে বলেন এই ঘটনার মূল নায়ক হলেন একই গ্রামের প্রভাবশালী জাকির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। প্রথমই তাসলিমা বেগম তাঁর মোবাইল ফোন দিয়েই সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে নিরহ ফিরুজ মিয়ার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরিকল্পনা করেন। এবং গত ১০/০২/১০১৫ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টায় পূর্বপরিকল্প্তি ভাবে পূর্ব ভিটির ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে ঘরে থাকা ছাগল ২টি,গাভী বাছুরসহ ১টি,ষাড় গরু ২টি, ধান, চাউল, খাট,লেপ তোষক,কাপড় ইত্যাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪ লাখ ৫০টাকা। এই ব্যাপারে ফিরুজ মিয়া বাদী হয়ে কসবা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৮, তারিখ ১১/০২/২০১৫ইং। কসবা থানার সাবেক ওসি মোঃ মিজানুর রহমান মামলাটি তদন্ত দায়িত্ব প্রদান করেন এস আই মজিবুর রহমান(৩) কিন্ত উক্ত দারোগা তদন্ত প্রাপ্ত হয়ে তাসলিমা বেগমের মোবাইল কললিষ্ট তালিকা তদন্তক্রমে সস্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাড়ি ঘর ,গরু ছাগল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সততা খুঁজে পাওয়ার পর বাদীর তৎপরতার ফলে ঘটনার পরিকল্পনার মূলনায়ক তাসলিমা বেগমকে অবশেষে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। কিন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সাথে অন্যায় ভাবে প্রভাবিত হয়ে মামলার সঠিক তদন্ত না করে আমাকে ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত করছেন। তাই আমি বাধ্য হয়ে ফিরুজ মিয়া গত ১৫ অক্টোবর ২০১৫ইং ইং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপারের কাছে কসবা থানা মামলা নং-১৮,তারিখ-১১/২/২০১৫ইঙ জি আর ৭৬/১৫ তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারসহ মামলাটির অগ্রগতি না হওয়ার ফলে বিবাদী পক্ষরা প্রকাশ্য বাদীসহ তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে বাদী ফিরুজ মিয়া সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেরকে জানান।
এই দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মুজিবুর রহমান (৩) জানান,মামলার তদন্ত চলছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।