কসবায় আইনমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন বৃদ্ধ ঝাড়ু মিয়া
কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউপির বগীর গ্রামে একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা একই গ্রামের নিরীহ পরিবারের জায়গা-জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন অসহায় ঝাড়ু মিয়া।
জানা গেছে, কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউপির বগীর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীম ভূইয়ার ছেলে ৭০ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঝাড়ু মিয়া তার পৈতিক সম্পত্তি (চাকলা রোসনাবাদ মহারাজা স্যার বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর কে,সি,এস,আই নং ৪৩৬১ প্রজার অংশ রায়তি মূলে মালিক) ভোগ দখল করিয়া জীবন যাপন করছিলেন। গ্রামের একটি প্রভাবশালী পরিবারের কুনজর পড়ে নিরীহ অক্ষরজ্ঞানহীন ঝাড়ু মিয়ার সম্পত্তির উপর। এক পর্যায়ে বিগত জরিপে গোপন ভাবে জরিপকারীকে ম্যানেজ করে ঝাড়ু মিয়ার বাপ দাদার ৪ দাগে প্রায় ৪ কানি সম্পদ প্রভাবশালী পরিবারটি তাদের নামে বিএস জরিপে অন্তুর্ভুক্তি করিয়ে ফেলে। এছাড়াও প্রভাবশালীরা বিগত দিনে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বার বার হয়রানি করেছিল বলে অভিযোগ করেন ঝাড়ু মিয়া।
এক পর্যায়ে এই নিয়ে বিজ্ঞ দেওয়ানি আদালতে মামলা মোকাদ্দোমা হয়েছে বলেও ঝাড়ু মিয়া জানান।
গত ৬ এপ্রিল ২০১৭ইং বিকালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদেরকে ঝাড়ু মিয়া জায়গা জমির প্রমাণাদি নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং গ্রামের ঐ প্রভাবশালী পরিবারের তিন সদস্যদের বিরুদ্ধে সাব দলিলবিহীন গোপনে জরিপ ও বিএস এবং অবশেষে জোর পূর্বক সম্পদ দখলের অভিযোগ তুলে মাননীয় আইনমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
একই গ্রামের পিতা মৃত জুলফক্কারী আলী ভুইয়ার তিন পুত্র যথাক্রমে ডা: হাবিবুর রহমান মৃত (বর্তমানে পুত্র সেলিম),হাফিজ উদ্দিন, আব্দুৃল লতিফ, একই গ্রামের বগীর মৌজে সাবেক ৪৪৫ দাগের ১১শতক (ভিটি বাড়ি),সাবেক ৪৪৩ দাগে ৮৫শতক পুকুর, সাবেক ৪৪৪ দাগে ১৩শতক বসত বাড়ি, সাবেক ৪১৭ দাগে ডোবা ১২শতক বিএস করে দখল করে নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
দখলকারীরা ঝাড়ু মিয়ার সম্পত্তিতে কোনো ওয়ারিশ মূলে অংশিদার মালিক যত্নবান না হয়ে দলিলবিহীন ৪ কানি ১শতক জায়গা জরিপ,বিএস,ভোগ দখল কিভাবে করেন সচেতনমহলের মাঝে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিষয়ে মরহুম ডা: হাবিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের অভিমত জানার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।