কসবায় বখাটে গংদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন এক গৃহবধু
কসবা প্রতিনিধি(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ::কসবা পৌর এলাকাধীন লৌহার ব্রীজের সামনে উৎপেতে থাকা জহির ও বাশার চিহ্নিত বখাটের হাত থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে এক গৃহবধু অবশেষে দৌড়ে রক্ষা পেয়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে বাজার কমিটি, থানা পুলিশ,সাংবাদিক,পৌরবাসীর মাঝে ব্যাপক আলোচনার সমালোচনা, ক্ষোভসহ নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ঘটনাটি গত ৭ জুন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি গতকাল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানান।তিনি ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে এই গৃহ বধূ কান্নায় ভেংগে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটার রাতেই রক্ষা পেয়ে কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হুদা শিপনকে এই পরিবারটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভির্ওিতে বাজার কমিটি ওসি কসবাকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ত এই যাবৎ বিজনা নদীর লৌহার ব্রীজ সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের বাড়ি জহির ও বাশার গংদের । বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক গতকাল রাতে জানান ইতির্পর্বেও একটি মেয়েকে উক্ত রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জহির,বাশারসহ ১৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পালাক্রমে অনৈতিক কাজ করেছিলেন। পৌর এলাকার খাড়পাড়া গ্রামের গৃহবধু আরো জানান খারাপ উদ্দেশ্যে জহির ও বাশার আমার রিক্্রশার দিকে ছুটে আসতে চাইলে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। এত কিছুর পরও কসবা থানা পুলিশ কিভাবে এখনোও চুপচাপ বসে আছেন ভাবতে অবাক লাগে। এই ঘটনাটি পৌরএলাকাবাসী ক্ষোভসহ নিন্দা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সচেতনমহল লম্পট জহির ও বাশারসহ পুরো ১৭ জনের বখাটে গ্র“পটাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। মাননীয় আইনমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগত করিয়ে দ্রুতগতিতে থানা পুলিশ বখাটে জহির ও বাশার গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে এই ঘটনার প্রতিবাদে পৌর নাগরিক সমাজ মানববন্ধন করার কথা জানান ।
কসবা থানা সদর এলাকার সামনে এই ঘটনাটি থানায় জানানোর পরও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করার বিষয়টি রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী জানান। নাম প্রকাশে সত্বে বিশেষ সূত্রটি জানান এলাকায় চুরি,ছিনতাই,অপহরন,গাজা,ইয়াবা পাচারসহ চাঁদাবাজীর সাথে জহির ও বাশারসহ ১৭জনের এই সংঘবদ্ধ দলটি। পুলিশ ও র্যাব বাহিনীর সদস্যরা জহির ও বশিরকে গ্রেফতার করলেই অনেক অজানা রহস্য উদঘাটিত হবে বলে পৌরবাসী অভিমত প্রকাশ করেন।