Main Menu

কসবা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ভেঙ্গে পড়েছে

+100%-

কসবা প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের নির্দেশে কসবায় সম্মেলন বিহীন গঠিত উপজেলা যুবলীগ সংগঠনটি নিয়ে নানাহ জল্পনা কল্পনা,প্রতিবাদ আর লাঠি সহ বিক্ষোভ মিছিল এর মধ্যে দিয়ে প্রায় দুই বছর কাল অতিক্রম  করে চলেছে। এই কমিটির মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা না থাকায় সংগঠনটির সাংগঠনিক কাঠামো দিন দিন ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও যুবলীগ নামক সংগঠনটি উপজেলায় ব্যাপক তৎপরতা  বা সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকার ফলে ওয়ার্ড,ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে। এবং যার ফলে দলীয় কর্মকান্ডে অধিকাংশ কর্মীদের   উৎসাহ উদ্দিপনায় এগিয়ে আসা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে মাঠে ময়দানে কথা উঠেছে। বিগত দিনে কসবা উপজেলা যুবলীগ কমিটি জেলাসহ উপজেলার জনমনে নানাহ কথা সহ সংবাদ পত্রে সংবাদ শিরোনাম হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। আর বর্তমান কমিটি নামে মাত্র থাকলে অধিকাংশ অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি নেই । জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ  ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কসবায় উপস্থিত থেকেও আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেননি। তাঁর কারণ গত ১৫ মার্চ ২০১৫ইং রাতে জানতে চাইলে সভাপতি জানান উপস্থিত হলে বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারে বলে হাজির হননি।
উল্লেখ্য যে, বিগত দিনে  কসবা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন স্থগিত করে সম্মেলন বিহীন কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে  কসবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদ প্রার্থী আবু জাহেরর সভাপতিত্বে কসবা উপজেলা পরিষদে গত ২৮ অক্টোম্বর ২০১৩ইং সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন কসবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি পদ প্রার্থী সৈয়দাবাদ কলেজের সাবেক  ভিপি আলমগীর, সভাপতি পদ প্রার্থী এম এইচ মানিক। তারা বলেন গত ৫ অক্টোবর শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জেলা যুবলীগের সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক স্থগিত করে দিয়ে পরবর্তিতে জানানোর কথা বলেছিলেন। কিন্ত কথা দিয়ে কথা রাখেননি বলে এই নিয়ে কসবায় ৪ অক্টাবর সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৎকালিন সময়ে উভয় পক্ষের মাঝে থম থমে ভাব বিরাজ  করছিল।
কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী আবু জাহের,ভিপি আলমগীর,এম এইচ মানিক সম্মেলনবিহীন মনগড়া  ও প্রার্থীদেরকে অবগত না করিয়ে গত ২৮ অক্টোবর রবিবার কমিটি জেলার একটি   দৈনিক পত্রিকায় কমিটি ঘোষণা করায়  তীব্র প্রতিবাদসহ নিন্দাজ্ঞাপন করেছিলেন। সভাপতি পদ প্রার্থী আবু জাহের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে অর্থ কেলিংকারীর চেক প্রদানের অভিযোগ করেছিলেন। এই কসবা উপজেলা যুবলীগ অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবীতে ঐ সময়ে প্রতিদিন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। অবশেষে গত ১১/১১/২০১৪ইং কসবা উপজেলা সদরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী,সমর্থকগণ এর প্রতিবাদে লাঠি মিছিলসহ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও  প্রতিবাদে ফুসে উঠেছিল। এই সংবাদটি যখন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশের পর প্রকৃত যুবলীগের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠনের কথা মাঠে ঘাটে আওয়াজ থাকলেও হঠাৎ করে মাঝ পথে এসে  থেমে যাওয়ার ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে নানাহ প্রশের জম্ম দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।  আর গঠিত কমিটির কাযক্রম এবং মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা না থাকার ফলে সংগঠনটি আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পড়তে থাকে বলে মেহারী ইউপি যুবলীগ নেতা আল হেলাল জানান। এখন কসবায় যুবলীগৈর সাংগঠনিক কর্মকান্ড শূন্যর ঘরে দাঁড়িয়েছে।  বিরোধী দলের আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে হলে দুই বছর অতিক্রম করা এই কমিটি দিয়ে সম্ভব নয় বলে সচেতন মাঠ পর্যায়ের যুবলীগ কর্মীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাই সম্মেলনের মাধ্যমেই কমিটি গঠন হলেই  কসবা উপজেলা যুবলীগ নামক সংগঠননিকে শক্তিশালী করতে পারে বলে ত্যাগী যুবনেতা কর্মীরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবী বলে উপজেলার সচেতন মহলের দাবী বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। আর কসবা উপজেলা যুবলীগ একটি  আহবায়ক কমিটি  অচিরেই গঠনে ব্যর্থ হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শক্তি কোন ক্রমেই বৃদ্ধি পাবেনা বলেও মাঠ পর্যায়ের সিনিয়র নেতারা অভিমত প্রকাশ করেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে। কেউ কেউ বলছেন বর্তমান কমিটি বা পকেট কমিটিকে যে যে নামে  বলুক না কেন তাদের হাতে আরো এক বছর মেয়াদ আছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। এই কসবা উপজেলা যুবলীগ নতুন কমিটি গঠনকল্পে দাবী ও সকল জটিলতা নিরসনের বিষয়টি মাননীয় আইনমন্ত্রী জরুরী ভাবে হস্তক্ষেপ না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে উপজেলা যুবলীগের মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  এই প্রতিনিধির কাছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।     






Shares