চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই, চার্জ শেষ হওয়ায় গ্যারেজে নিয়ে ধরা খুনি
রুবেল আহমেদ ॥ কসবায় রিফাত মিয়া (১৭) নামে এক ইজিবাইক চালককে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা। বুধবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার মনকাশাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রিফাত মিয়া উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া গ্রামের মোঃ আবেদ মিয়ার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কিশোর সন্তানকে হারিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবু নেছার ওরফে আপন (২৯) নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে জনতা। আটককৃত আপন একই উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার গ্রামের মোঃ আলমগীর মিয়ার ছেলে।
থানা সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা রিফাতের ইজিবাইকে উঠে মনকাশাইর এলাকায় এসে তাকে হত্যা করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের পর ইজিবাইকটির চার্জ কমে গেলে পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে একটি গ্যারেজে এনে চার্জের জন্য ইজিবাইকটি রেখে যায় ছিনতাইকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে রিফাতের হত্যার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সকালে ছিনতাইকারী আবু নেছার গ্যারেজ থেকে পুনরায় ইজিবাইকটি আনতে গেলে গ্যারেজ মালিক ও স্থানীয় জনতা আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। তার দেয়া তথ্য মতে মনকাশাইর এলাকা থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাতের বাবা আবেদ মিয়া জানান, বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় রিফাত। সন্ধ্যার দিকে ফোনে জানায় গাড়ীতে যাত্রী আছে। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে। গাড়ীতে যাত্রীরা ছিনতাইকারী ছিলো। ছিনতাইকারীরা তার ছেলেকে মেরে গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার সময় চার্জ শেষ প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরে গাড়িটি শাহপুর গ্যারেজে নিয়ে আসে। সারারাত ছেলের অপেক্ষায় ছিলাম। গ্যারেজে মালিক জানায় গাড়িটি অন্য একজন চার্জে দিয়ে গেছে রিফাত আসে নাই। এখানেই গাড়িটি নিয়মিত চার্জ দেয় তার ছেলে রিফাত। সকালে গাড়িটি আবার ছিনতাইকারী আপন নিতে আসলে গ্যারেজ মালিকের সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল হক কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহপুর গ্যারেজ থেকে স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে রিফাতকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।