কসবা থানা জলসেচ ভবনটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছে !
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা প্রশাসনের চত্বরের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে খোলা আকাশের দাঁড়িয়ে আছে কসবা থানা জলসেচ কর্মশালা কার্যালয়টি। দুই তলা ভবনটি ১৯৯৭০ ইং সালের জানুয়ারী মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ভবনটি তত সময় উদ্বাধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কাজী আজহার আলী সিএসপি।এক সময় থানা এলাকায় কৃষকের কাছে জলসেচ প্রকল্পের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বর্তমানে খাল নদী নালা ভরাট আর দখল হওয়ার ফলে পুর্নখনন না করার কারণে এই প্রকল্পটির কৃষকের কাছে তেমন চাহিদা নেই বলে কৃষকরা জানান।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)কসবা উপজেলা অফিসে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী আর দুইজন সহকারী যন্ত্রবিদ নিয়ে চলছে অফিসটি। এই দিকে কৃষকের দাবী আগের মদ যেন নদী খাল বিল খনন করে সেচ ব্যবস্থা চালু হলে কৃষকের কৃষি ফলনে ব্যয় কমে উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা আসবে বলে ধারণা করছেন। পুরাতন ভবনটি এখন ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যেকোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে সচেতনমহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। এই পুরাতন ভবন আর পাশে অবস্থানরত গোডাউনটিও এখন গাছ পালা আগাছা ঘিরে রেখেছে। যেকোনো সময় ধসে গিয়ে মরণ ফাঁদ হতে পারে বলে না প্রকাশ না করা সত্বে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান।
স্থানীয় প্রশাসন এই ভবটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ভবনটি অপসারণ করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করার বিষয়টি জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কাইয়পুর ইউপির খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান,বিএডিসি এখন আর আগের মত কার্যক্রম নেই। নদী এবং খালবিল ভরাট হয়ে গেছে।
শাহপুর গ্রামের মো:সহিদুল হক জানান, আগের মত কসবা উপজেলা বিএডিসির আগের মত সেচ ব্যবস্থা নেই। কৃষি সেচের জন্য আগের মত ব্যবস্থা করার দাবী জানান। বিএডিসি সহকারী যন্ত্রবিদ কসবা বলেন; আমাদের একটা নতুন ভবন করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমান ভবনটি একেবারে জরার্জীণ অবস্থা আছে। কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাজেদুর রহমান জানান; নদী থেকে যদি সেচটা অব্যাহত রাখা হয় তাহলে বিঘাপ্রতি কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসতো। আমাদের কৃষক কৃষি কাজে আরোও আগ্রহ হতো এবং কৃষি উৎপাদন বেড়ে যেতো।