কসবার তারাপুর গ্যাস ক্ষেত্র অদৃশ্য কারনে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে সভা
রুবেল আহমেদ : কসবার তারাপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন না করে অদৃশ্য কারনে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে “কসবার গ্যাস কসবায় চাই” আন্দোলন কমিটির উদ্যোগে কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কসবা উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন “কসবার গ্যাস কসবায় চাই” আন্দোলনের আহ্বায়ক তানভির ইসলাম শাহিন।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, কসবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহŸায়ক মো. কামাল উদ্দিন, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল খায়ের স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন পলা, সাবেক সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, মাদ্রাসা সুপার আবু ছালেহ মো. ইকবাল, নাগরিক কমিটির সদস্য কাজী মোশাহেদ উল্লাহ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান প্রমুখ ।
কসবার গ্যাস কসবায় চাই আন্দোলনের আহ্বায়ক তানভীরুল ইসলাম শাহিন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, কসবাবাসী দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার, তারাপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে দীর্ঘদিন গ্যাস উত্তোলনের জন্য কাজ করেছিল বাপেক্স। তৎকালীন সময়ে বলা হয়েছিল গ্যাস উত্তোলন হবে। কিন্তু বিগত সরকারের অদৃশ্য ইশারায় গ্যাস নেই বলে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। অথচ পাশেই এক কিলোমিটার দূরে ভারত গ্যাস উত্তোলন করছে। এতে বড় ধরনের কারসাজি ছিলো বলে দাবী করেন তিনি।
বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে অবহিত করলে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সরেজমিনে না এসেই আগের কাগজপত্র দেখে প্রতিবেদন দিয়ে দেয়। কসবার সালদা গ্যাস ক্ষেত্র থেকেও কসবাবাসীকে বঞ্চিত করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্য বক্তারা কসবার মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, “তারাপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর চাহিদা পুরণ করেও জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা যাবে। অথচ কসবাবাসী সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
মতো বিনিময় সভায় বক্তারা আরও বলেন, তারাপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়ে সকলের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করব। দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।