কসবায় খাড়েরা সবুজ সংঘ’র উদ্যেগে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান
কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন খাড়েরা সবুজ সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার খাড়েরা বাজার মাঠে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খাড়েরা সবুজ সংঘ ১৫ জন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া খাড়েরা গ্রামের এক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানসহ গ্রামের ২৬ জন অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ১৩ হাজার টাকা মানবিক ভাতা প্রদান করা হয়।
খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের স্বপন। সবুজ সংঘের সভাপতি ও কসবা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন পলার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন, কসবা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, খাড়েরা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ বাবু, সাংবাদিক মো. শাখাওয়াত হোসাইন পারভেজ, রুবেল আহমেদ, মোহাম্মদ জামশেদ মিয়া, মোহাম্মদ শাহপরান, মোহাম্মদ নাজমুল হক, কাজী দিপু ও সবুজ সংঘের অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. আবুল খায়ের স্বপন বলেন, “খাড়েরা সবুজ সংঘ দীর্ঘদিন ধরে সমাজের কল্যাণে কাজ করে আসছে। এই ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহ জোগাবে এবং অসহায় মানুষদের জীবনে স্বস্থি আনবে। শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরাও পড়াশুনা করে স্বাবলম্বী হয়ে এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. লোকমান হোসেন পলা বলেন, “আমরা সব সময় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করছি। ভবিষ্যতেও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য আরও কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। ভবিষ্যতে সবুজ সংঘের উদ্যোগে এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বছর ব্যাপী শিক্ষা সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । এসময় উপকারভোগী শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। পড়াশুনা শেষে তারাও একদিন মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অভিভাবকরা সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।