খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা করেছিল তত্বাবধায়ক সরকার-আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা আওয়ামী লীগ করে নাই। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা করেছেন উনার আমলের তত্বাবধায়ক সরকার। দুর্নীতির মামলা করেছেন উনার আমলের সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি। তখন তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন উনারা যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বানিয়েছিলেন তিনি।
তখন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহাম্মদও তাদেরই লোক ছিলেন। উনারাই বুঝতে পেরেছিলেন যে বেগম জিয়া দুর্ণীতি করছেন। দুইটি দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরে আপিল করলেন। আপিলে সাজা আরও বেড়ে গেলো। নিম্ম আদালত দিয়েছিলো ৫ বছর হাইকোর্ট বাড়িয়ে দিয়েছে ১০ বছর। জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় শর্ত সাপেক্ষে বেগম জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এক তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না এবং তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।
সোমবার দুপুরে আইনমন্ত্রীর নিজ গ্রাম পানিয়ারুপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারকে বিএনপি সরকারই কুলষিত করেছে। সর্বোচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলা ছিলো। মামলায় বলা হয়েছে তত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। ফিফটিন এমেনমেন্ট সংসদ করেছে এবং সেই সংসদে ফিফটিন এমেনমেন্টে পার্লামেন্টারী সিস্টেম অব গভমেন্টে ১৯৭২ সালের যে সংবিধান সেখানে ফিরে যাওয়া হয়েছে এবং সেভাবে নির্বাচন হয়ে আসছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি। যদি কেউ না আসে এবং সেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার সময় কেউ অগ্নিসন্ত্রাস করে সেটার দোষ কি আওয়ামী লীগের ? সেটার দোষ কি শেখ হাসিনার ? নাকি বাংলাদেশের জনগনের । সেটার দোষ হচ্ছে সেই বিএনপি সন্ত্রাসীদের।
মন্ত্রী বলেন,আগামী ২০২৩-২৪ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে তারিখ দেয় সেই তারিখে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ’ নির্বাচন হবে। সেটা বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে । অন্য কিছুর মাধ্যমে হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন জনগন যেটা চায় বাংলাদেশে সেটা হবে। জনগন যাতে ভাল থাকে বাংলাদেশে সেটা হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানে আজ পর্যন্ত ঠিকমতো একটি সংবিধান হয় নাই। যেটা আছে সেটা একটা নড়বড়ে সংবিধান। যদি আর্মি সাহেবরা বলে এটা আমরা ব্যবহার করবো তাহলে একভাবে চলে আবার যদি রাজনীতিবিদরা বলে এটা আমরা ব্যবহার করবো তাহলে অন্যভাবে চলে এরকম হচ্ছে পাকিস্তানে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডঃ রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম স্বপন,আয়েশা বেগম,গোলাম রব্বানী,নাজির আহমেমদ,আমজাদ হোসেন,ফুল মিয়া ও শাহাদত হোসেন। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকগন, জনপ্রতিনিধিগন ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।