কসবা:: রাইতলা লাল মিয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা হয়, নিয়োগ হয় না
ডেস্ক ২৪:: কসবা উপজেলার রাইতলা লাল মিয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে একাধিকবার নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ কাউকে নিয়োগ দেয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর শূন্য পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়। এতে কসবার শাহপুর আফছার উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মানাউল্লাহ প্রথম হন। নিয়োগ বোর্ড তাঁকে নিয়োগের সুপারিশ করে। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় পরীক্ষা হয়। এতে কসবার হাজীপুর শহীদ স্মরণিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমরান হোসাইন প্রথম হন। তাঁকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ড সুপারিশ করে। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাঁকেও নিয়োগ দেয়নি। পুনরায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিচালনা পর্ষদ। গত ২৪ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে ২২ নভেম্বর এমরান হোসাইন ইউএনও মু. আরিফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
২৩ নভেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করে বিষয়টি তদন্তে ইউএনও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিচালনা পর্ষদ কেন নিয়োগ দেয়নি তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
প্রথম দফার পরীক্ষায় প্রথম হওয়া কাজী মো. মানাউল্লাহ বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি, কিন্তু আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কোনো দুর্বলতা আছে।’
দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় প্রথম হওয়া এমরান হোসাইন অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই বারবার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অথচ তিনি কোনো মেধাতালিকায় থাকতে পারেন না।
আবদুল করিম বলেন, যোগ্য প্রার্থী মেধাতালিকায় না আসায় একাধিকবার নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা করার মতো দক্ষতা না থাকায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ইউএনও মু. আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।