আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে অভিবাদন
এক অসহায় বৃদ্ধা মা। সরকারি ত্রাণের ঢেউটিন ও বরাদ্ধকৃত টাকা নিতে আসা বৃদ্ধ মাকে ঝটকা মেরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে বুকে টেনে নিলেন। আর কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধা মা যেন ছেলের একটু আদরে বুকে ঘুমিয়ে পড়ার দৃশ্যটি ডিটিভিসহ অন্যান্য ক্যামেরায় বন্দি হলো। এই দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে অসংখ্য মানুষের মনে ও চোখের পাতায়।
গত ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। যাহা একজন প্রকৃত সন্তান তাঁর মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিপ্রকাশ ঘটেছে। একই সাথে অতিসাধারণ বৃদ্ধা রাজিয়া খাতুন (৬৫), স্বামী-আব্দুল মালেক ,গ্রাম-জাজিয়ার এই বৃদ্ধা মহিলাকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশে আমাদের মাথা নত হয়ে এসেছে।আইনমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন উন্নয়নের পাশাপাশি অসহায় নিরহ ময়লা আবর্জনা কাপড় পড়া,মুখে পান খাওয়া এই বৃদ্ধা আমাদের মা,তাই তাকে ধাক্কা দিয়ে লাইনের ওপারে ফেললে চলবে না। অন্তর দিয়ে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। তাই আইনমন্ত্রী একজন মায়ের প্রতি তাঁর অকৃতিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রমান করে দিলেন। নিজের পরিস্কার কাপড় ময়লা হবে কি না,নিজের কাপড় নষ্ট হবে কি না,তা হিসেবে নিকাশ বিপন্ন করেই মাকে জড়িয়ে স্থান দিলেন তাঁরই বুকে। এই অজানা-অচেনা বৃদ্ধা মাকে যথাসময়ে মমতা দিয়ে মানবিক মূল্যবোধের যে পরিচয় তিনি রাখলেন,তার তুলনা মেলা ভার। এসব মানুষ আছেন বলেই মানব জীবনপ্রবাহ অব্যাহত আছে। এই সব দৃশ্য দেখেই মানুষের ওপর মানুষের আস্থা শেষ পর্যন্ত রাখা যায়। কারণ অতীতে আমাদের কসবা ও আখাউড়ায় কত জায়গায় অবহেলা,কত দায়িত্বহীনতা,কত বেকারহীনতা, দখলবাজি ইত্যাদি নিয়ে আমাদের ক্ষোভ ও অভিযোগ প্রকাশ করতে হয়েছিল। এখন সেখানে বৃদ্ধা মা রাজিয়া বেগমের প্রতি দায়িত্ববোধের অসাধারণ দৃটান্ত দেখালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। আমাদের এখন দেওয়ার পালা এসে পড়েছে। অতীতকালে এমপিরা আগে ভোট চেয়ে কাজ করেছেন, এখন উন্নয়ন,চাকরি,বিদ্যুৎ দিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাই এই অসাধারণ মানুষের ভেতরের অসাধারণ বীরের প্রতি শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসার দায়ত্ববোধের মাথা নত হয়ে থাকতে হবেই। যদিও সুলভ নয়, বিরল তবে সাধারণের মধ্যেই এই বীর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির মাঝে আমরা মানবিক আদর্শের বাস্তব ও কাব্যকথার সার্থকতা খুঁজে পেয়েছি। তাই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’কে অভিবাদন।
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী
সম্পাদক,পাক্ষিক অপরাধ পত্র
কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।