Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে

আখাউড়ায় ব্রান্ডিং বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠান বৈঠক

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ যথাঃ একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়নের কার্যক্রম সমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগের বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম, বিষয়ের উপর রোজ বুধবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,আখাউড়া মোঃ শামসুজ্জামান, তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার অঙ্গীকার নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রধিকার প্রদান করে।একইসাথে জনগনের দোড়গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো,নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো,পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।তিনি আরো বলেন গণমাধ্যম,রাজনীতিবিদ,কূটনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবী,আইনজীবী,সমাজকর্মী,সমাজবিজ্ঞানী,অর্থনীতিবিদসহ সকল শ্রেণীর মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণপূর্বক দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব ।

বিশেষ অতিথি জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ দত্ত বক্তব্য প্রদান করেন, এবং ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার,উপপরিচালক,জেলা সমাজসেবা কার্যালয়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিং বিষয়ক উদ্ভাবনী মূলক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠান বৈঠক এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন । তাঁর উদ্যোগে যুদ্ধবিধ্বসÍ স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।সে সময় সরকারি শিক্ষকের পদমর্যাদা লাভ করেন দেশের ১লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষক।এই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা সহায়তা র্কমসূচি বাস্তবায়নের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।যার সুফল লাভ করছে শিক্ষার্থীরা।গত ৬বছরে ২৬,১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে ।এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত বিশেষ অতিথি মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার,উপপরিচালক,জেলা সমাজসেবা কার্যালয়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ত্বে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং এরই মধ্যে জাতিকে লোডশেডিং এর বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করেছে। তিনি আরো বলেন- যে দেশ যত দ্রুত ইনফরমেশন হাইওয়ে যুক্ত হবে সে দেশ তত অর্থনৈতিক ভাবে চাঁঙ্গা হবে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যানেই আজ বাংলাদেশ ‘‘ তলাহীন ঝুঁড়ি থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মর্যাদা পাচ্ছে’’। বিটি আর সি এর তথ্য মতে ৭ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। (জানুয়ারি,২০১৮),তাছাড়া তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বৈষ্ঠনী নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষ অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সকলের মধ্যে দেশ প্রেম থাকতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৮০ শতাংশ মহিলারা সেবা নিচ্ছে ফলে শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং সৈয়দ সেলিম শাহ,সভাপতি এস এম সি – একটি বাড়ী একটি খামার ও আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।আলহাজ্ব আবুল হাসেম,মেম্বার,মোঃ হেবজু মিয়া,মোঃ বজলুর রহমান,মোঃ কবির,মোঃ মানিক মিয়া,মোঃ ইমাম খাঁনসহ আরো গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন। সভাপতি জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস বলেন-এই অঞ্চলের দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে। আমরা ২০২১ সালে যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে যে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি তা প্রধানমন্ত্রীর এই ১০টি বিশেষ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমী আক্তার,প্রধান শিক্ষক,তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।প্রেস রিলিজ






Shares