আখাউড়ায় কলেজ ছাত্রী রিতা হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন



আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদের মেয়ে নাহিদা সুলতানা রীতা হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো আখাউড়া পৌর এলাকার বাগানবাড়ির সিরাজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া, সাত্তার মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া ও মুন্সীবাড়ির শেখ মোবারকের ছেলে শেখ ফয়সাল।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২ মে সকালে আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের চন্দনসার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কলেজছাত্রী রীতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রীতার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
রীতার বাবা শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ ওই সময় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তখন তিনি পুলিশকে জানান, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। পরে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ২১ মে আখাউড়া থানায় মামলা করা হয়।
রীতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ প্রথমে রীতাদের বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল আলীমকে গ্রেপ্তার করে। পরে প্রতিবেশি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে গতকালের রায়ে কেয়ারটেকার আব্দুল আলীমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।