আখাউড়ায় দুই ট্রেন এক লাইনে : অল্পের জন্য রক্ষা পেল হাজার যাত্রী
সংবাদদাতা : গতকাল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুটি ট্রেন একই লাইনে ঢুকে পড়ে। ট্রেন দু’টি প্রায় একশ’ গজ দূরে এসে থেমে গেলে অল্পের জন্য রক্ষা পায় হাজার দুয়েক যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ১টা ৫মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের দুই নম্বর লাইনে ঢুকতে থাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও ভৈরব থেকে আখাউড়া অভিমুখী বাল্লা এক্সপ্রেস। এ সময় কেবিনে কর্মরত ইয়ার্ড ফোরম্যান আইয়ুব আলী দ্রুত লাল পতাকা হাতে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে থামার সিগন্যাল দেন। এ সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে দু’টি ট্রেনের চালকই ট্রেন থামিয়ে দেন। তবে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নেমে পড়েন। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক মো. আবুল খায়ের জানান, সিগন্যাল পেয়েই ২নং লাইনে ঢুকতে থাকি। এ সময় একই লাইনে আরেকটি ট্রেন আসতে দেখে থামিয়ে দেই। একই কথা বলেন বাল্লা ট্রেনের সহকারী চালক মো. জয়নাল আবেদীন। অবশ্য আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, বাল্লা লোকাল ট্রেনের চালক সিগন্যাল অতিক্রম করে ঢুকে পড়ায় এ সমস্যা দেখা দেয়। কেবিন মাস্টারের কোনো ভুল ছিলনা বলে তিনি দাবি করেন।অবশ্য বাল্লা লোকাল ট্রেনের চালক মো. আশরাফুল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ২নং লাইনে ট্রেনের সিগন্যাল দেখেই তা আনা হয়। ইচ্ছে করলেই চালক ট্রেন কোনো লাইনে নিতে নিতে পারেন না। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুর সাত্তার জানান, পরে বাল্লা লোকাল ট্রেনটি পিছনে সরিয়ে নিয়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ২নং লাইনে আনা হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।