আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্বোধন
প্রতিনিধি : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ত্রিপুরার আখাউড়া স্থলবন্দরে নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট'(আইসিপি) রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল। ৭৩.৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় এই অত্যাধুনিক আইসিপি উদ্বোধন করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা। উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডেতিনি বলেন, আমরা কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, “দেব-নেব” বিলিব-বেলাবোর মতোই আমাদের দু’দেশের সম্পর্কটা রাখতে চাই। এ চেকপোস্টের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরো বাড়বে বলে আমি আশা করি। পেট্রপোলের পর এটা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এখান দিয়ে প্রতিমাসে অন্তত সাড়ে চার হাজার লোক যাতায়ত করে।বাংলাদেশে রাজনৈতিক কোনো সংকট নেই। যথা সময়েই নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয় না। আদালতের নির্দেশ পেলে অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেয়া হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানো এবং মানুষের যাতায়াত সহজ করতে ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্তে তৈরি হয়েছে এই আন্তর্জাতিক ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’। উল্লেখ্য, একমাত্র ভারত-পাকিস্তান ‘আত্তারি’ সীমান্তেই এই ধরনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট আছে, সেদিক থেকে আখাউড়া আইসিপি হল দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে ৭৩.৫০ কোটি রুপি ব্যায়ে এই আন্তর্জাতিক ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ২০১১ সালে মে মাসে এই আইসিপি-এর উদ্ধোধন করে যান ভারতের তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম। দুই দেশের সীমান্ত বরাবর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হল আখাউড়া স্থলবন্দর। উত্তরপূর্ব ভারতের ব্যস্ততম এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫০০ মানুষ বৈধভাবে যাতায়াত করেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন গড়ে ২০০টি পণ্যবাহী ট্রাক ত্রিপুরায় প্রবেশ করে এই স্থলবন্দর দিয়ে।
আন্তর্জাতিকমানের এই ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ তৈরির মধ্যে দিয়ে এক ছাদের তলায় চলে আসল শুল্ক, অভিবাসন, পার্কিং, হোটেল, ব্যাঙ্ক, যাত্রী আবাস, ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়সহ বাণিজ্য ও পরিবহন সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকাঠামো। সীমান্ত বাণিজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে এই ব্যবস্থায়। |