আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমে গেছে
শামীম উন বাছির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কমে গেছে। গত অর্থাৎ ২০১২-১৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩২২ কোটি টাকা। অথচ ২০১১-১২ অর্থ বছরে এ বন্দর দিয়ে ৪০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যমানের পণ্য ভারতে রপ্তানী হয়। দু’দেশের ব্যবসায়িরা বলছেন, ভারতে ডলারের দাম বাড়া ও বাংলাদেশে কমে যাওয়ার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাছ রপ্তানিতে জটিলতা দেখা দেওয়া রপ্তানী কমার আরেকটি কারন। এছাড়া বছর জুড়ে বিভিন্ন সমস্যা লেগেই ছিল বন্দরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় প্রায় ৪০টি পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মাছ, পাথর, সিমেন্ট, তুলা, প্লাস্টিক সামগ্রী, চিপস ইত্যাদি। রপ্তানিতে প্রায়ই যোগ হয় নতুন পণ্যের নাম। এসব পণ্য উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালায়, মিজোরাম, মনিপুরসহ ৭টি রাজ্যে সরবরাহ হয়। অপর দিকে সেখান থেকে খুবই কম পরিমানে আসে পেপার বোর্ড, প্লাস্টিক বর্জ্য, শুঁটকি ইত্যাদি। আখাউড়া স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত অর্থবছরে কারনে-অকারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ রাখে। সেখানে বিভিন্ন ধর্মঘটের ফলে ঘনঘন বন্দরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল গত অর্থবছরে। এছাড়া ওপারে ভারতের আগরতলা স্থলবন্দরে ডাম্পিং স্পেস কম থাকায় পাথর রপ্তানিতে দেখা দেয় শিথিলতা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিজিবি পিরানহা মাছ রপ্তানি বন্ধে কঠোর হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে স্থলবন্দরে। এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রাজিব ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৪ ডটকমকে বলেন, ডলারের দামের তারতম্যের কারনেই মূলত এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। একদিকে বাংলাদেশে ডলারের দাম কম ও অন্যদিকে ভারতে বেড়ে যাওয়ায় দু’দেশের ব্যবসায়িদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। |
« নিহত ৪ লাশের মূল্য ৩১ লাখ টাকা নির্ধারন (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) রেশমাকে নিয়ে ‘বোমা’ ফাটিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা! »