সীমান্তকে শতভাগ সুরক্ষা এবং আলোকিত সীমান্ত গড়াই বিজিবির প্রধান লক্ষ্য: মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন




মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরের বিজিবির আইসিপি পরিদর্শনে এসে বিএসএফ’র সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, উভয় দেশেই কিছু দুষ্টু লোক আছে। তাই কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এসব ঘটনা রোধে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সীমান্তে বিজিবি টহলের সুবিধার্থে ভারত সংলগ্ন সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে ৯৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। তবে শিগগিরই ২৮২ কিলোমিটার সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণ এবং সব সীমান্ত নজরদারির মধ্যে আনাই তার প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করছেন। আমরা সীমান্ত ঘেষে রাস্তা করার পরিকল্পনা করছি। রাস্তা করতে পারলে এগুলো অকেনটাই কমে যাবে। কিন্তু এটা করার মতো আমাদের এখনও সক্ষমতা হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হবো তখন এসব করা যাবে। বাংলাদেশের সীমান্তকে শতভাগ সুরক্ষা এবং আলোকিত সীমান্ত গড়াই প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে বিজিবি ডিজি বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে সন্ত্রাসী, চোরাচালান, মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে সেজন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আখাউড়া সীমান্ত চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধে প্রথমবারের মতো বিজিবি নারী সৈনিক দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। সীমান্তে চোরাচালান রোধ ও আখাউড়া আন্তজার্তিক স্থলবন্দর চেকপোস্টে মহিলা যাত্রীদের তল্লাশি করতে বিজিবি কোম্পানি সদরে ১৫জন নারী সৈনিক মোতায়েন করা হয়েছে। পুরুষ সৈনিকের পাশাপাশি এখন থেকে নারী সৈনিকরা আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তের চেকপোস্টে, আখাউড়া সদর বিজিবি ক্যাম্পে কাজ করবেন। তাছাড়া নারী সৈনিকদের যোগাযোগ, মেডিকেল, গোয়েন্দা শাখাসহ অন্যান্য শাখাতেও নিযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি বিএসএফ’র বাধায় আটকে থাকা আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মানের ব্যাপারে বলেন, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন মহলে আলোচনা চলছে। শিগগিরই বিষয়টির সুরাহা হবে।
এর আগে তিনি আখাউড়া স্থল বন্দরের শূণ্য রেখায় পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ১৯৫ ব্যাটালিয়নের আইজি ইউসি সারেঙ্গি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গাজী মো. আহসানুজ্জান, বিজিবির রিজিওন কমান্ডার ব্রি: জাহিদ, ১২ বর্ডার গার্ড সরাইল অধিনায়ক ল্যা: কর্ণেল শাহ আলী, বিএসএফ এর ডিআইজি ব্রিজেশ রাম, সিও টি কে মান্দাতা, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শামছুজ্জামান, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোশারফ হোসেন তরফদার প্রমুখ।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১২ বিজিবির কমান্ডার ও সৈনিকদের ব্রিফিংকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সীমান্তে মাদক পাচার রোধে সীমান্তরক্ষীদের আরো কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন। তিনি বিজিবির দরবারেও অংশ নেন।
বিজিবি মহাপরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরে ৬০ ব্যাটালিয়নের জন্য ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
« নাসিরনগরে কৃষকের মৃত্যুর জের: ভাংচুর, লুটপাট -গ্রেপ্তার আতংকে গ্রামবাসী। (পূর্বের সংবাদ)