সিএনজি চালক আলমগীর হত্যার বিচার চায় স্ত্রী
এদিকে এক বছর অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামি আটক করতে না পারায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায় নিহতের পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া পৌরশহরের সড়কবাজারস্থ স্থানীয় একটি পত্রিকা কার্যলয়ে সাংবাদিকদের কাছে অশ্রুসজল নয়নে স্বপ্না বেগম এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সরকারের কাছে স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের মে মাসের ১০ তারিখ মামলার ১নং আসামি কাশিনগেরর জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার কথা বলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত আলমগীর হোসেনকে মোবাইল ফোনে সিঙ্গারবিল বাজারে ডেকে নেয়। সিএনজি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পূর্বে স্ত্রী স্বপ্না আক্তার ও মা হনুফা বেগমকে আলমগীর মোবাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাওয়ার কথা জানায়। পরবর্তী ২/৩ ঘণ্টা পর থেকে আলমগীরের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং সেদিন আলমগীর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেও আলমগীরের সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
পরদিন লোকমারফত খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার মর্গে আলমগীরের লাশ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালক আলমগীরের মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর (লিচু বাগান) এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৩০), একই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (৩০), জিল্লু মিয়ার ছেলে আনার মিয়া (৩৫) ও নান্নু মিয়া (৩৭)।
এ ব্যাপারে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার বিবাদীরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি বাদীপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।