আখউড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় আগরতলার বিষাক্ত কাল বর্জ্যপানি :: বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীর মানবন্ধন
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর ঘেঁষা সিঅ্যান্ডবি খাল ও জজি নদী দিয়ে আগরতলার কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত কাল পানি আসার ফলে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ১৫টি গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
বিষাক্ত কাল পানি বন্ধের দাবিতে আজ ১৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ বিকাল ১৫০০ ঘটিকায় আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েক শতাদিক এলাকাবাসী মানববন্ধন করে কলকারখানার বর্জ্য মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত কাল পানি প্রবাহ বন্ধের জন্য মানবন্ধন করেন।
এ সময় মানবন্ধনে অংশনেওয়া অনেকের হাতে ছিল বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ব্যানার। ব্যানারের মধ্যে লিখা ছিল পরিবেশ বাঁচান, আামাদের বাঁচতে দিন, সত্যিকারের বন্ধু হলে বিষাক্ত পানি বন্ধ করুন, পানি শোধনাগার চালু করুন, কাল দূষিত পানি বন্ধ করুন, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করুন, জীব বৈচিত্রকে বাঁচান, খাদ্য উৎপাদন করতে দিন, ঝঅঠঊ টঝ. উঙ ঘঙঞ কওখখ টঝ. ঝঅঠঊ ঊঘঠওজঙঘগঊঘঞঝ, ঝঅঠঊ ঋঅজগঊজ’ঝ ইত্যাদি ।
মানববন্ধনে অংশনেয়া ভূক্তভোগীরা জানান, ১৯৭২ সাল থেকে আগরতলার সকল প্রকার শিল্পবর্জ্য, মিল কারখানা এবং আবাসিক এলাকার সকল প্রকার বর্জ্য আখাউড়া আইসিপির পাশ দিয়ে প্রবাহমান নালা দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করছে। ১৯৭২-১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই নালা দিয়ে প্রবাহমান বর্জ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বর্তমানে কলকারখানার বর্জ্য মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত রাসায়নিক ক্যামিকেল মিশ্রিত (ময়লা) কালো পানি বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে সীমান্ত এলাকার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত ঘেঁষা সিঅ্যান্ডবি খাল ও জজি নদী দিয়ে আসা কালো আর উৎকট গন্ধের এই পানিতে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মানুষ মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চাষাবাদের জমিতে এই ময়লা পানি প্রবেশের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্টসহ কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক চর্মরোগ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই বর্জ্য মিশ্রিত ময়লা পানি প্রবাহ বাংলাদেশের নদী নালার পানির সাথে মিশ্রনের ফলে মাছসহ সকল প্রজাতির জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
আখাউড়া স্থল বন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির উৎকট গন্ধের কারণে সকল সংস্থার সদস্যরাও প্রতিনিয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন ফলে নিজেদের দায়িত্বও তারা সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, পরিবেশ বিপর্যয়ের এই বিষয়টি জন্য বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী বলে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।