Main Menu

বিজয়নগরের দেওয়ান বাজার : সামান্য বৃষ্টিতেই ভোগান্তি চরমে

+100%-

মোঃ আজহারুল ইসলাম খান শাহ আলম : বিজয়নগর উপজেলার দেওয়ান বাজার। শত বছরের পুরাতন ঐহিত্যবাহী এ বাজার তার অতীত গৌরব হারাতে বসেছে। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার  হাট বসে এ বাজারে। উপজেলায় ঈদ উৎসবে গরুর বাজারও এটি। দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ গবাদি পশু ধান, চাল, সবজি তরকারী সহ নানাহ জিনিস বেচা কেনা করতে আসে এ বাজারে। শতবর্ষি এ বাজারের সর্বত্র এখনো লাগেনি উন্নয়নের ছোয়া। সামান্য বৃষ্টিতেই অলিগলিতে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়ে জন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে সমস্ত গলিপথ। বাজারের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও ময়লা আবর্জনার স্তুপে এগুলো এখন অকেজো। বর্ষার সময় বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ অবস্থা এতই করুন যে, একদিন বৃষ্টি হলে এক সপ্তাহেও পানি সরতে না পাড়ায় সৃষ্টি হয় হাঁটু সমান কাদার। ফলে বর্তমানে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর সরকার বাজারটি ইজারা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করলেও জনগণ রয়ে যাচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত। চলতি বছরেও বাজারটি লক্ষাধিক টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে।

বাজার ইজারাদার জুনাইদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াটোয়েন্টিফোরডটকম কে জানান, বাজার পাকাকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ জনগণকে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। আমরা শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে টুল আদায় করে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া টাকা উঠিয়ে নেই। তিনি আরো জানান, বর্ষার সময়ে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যাও কম থাকে। ফলে আমাদের টুল আদায়ের পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়। যার দরুন চলতি বছর আমরা ইজারাদারদের লাভতো দুরের কথা মূলধন নিয়েই ঘরে উঠা অসম্ভব হয়ে যাবে।

বাজার ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, প্রতি বছর আমাদের খাজনার টাকা বাড়লেও আমরা সুবিধা বঞ্চিই রয়ে গেছি। তাদের দাবি জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে বাজারের শ্রীবৃদ্ধি করে ক্রেতা-বিক্রেতা ধরে রাখতে কর্তৃপ যেন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাজারের করুন অবস্থায় ক্রেতা সাধারন পার্শ্ববর্তী গুণাপাড়া বাজার, হরষপুর বাজার, চেঙ্গারবাজার, কাশিমনগর বাজার, তুলশীপুর বাজার সহ অন্যান্য বাজারের দিকে ঝুকে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো এক সময় ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়বে গুরুত্বপূর্ন এ দেওয়ান বাজার।






Shares