বিজয়নগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়াম্যান, পুলিশসহ আহত ৪০
জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান, সাত পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ২০টি দোকানপাট, বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের শ্রীপুর-নোয়াগাঁও গ্রামের ভূইয়ার গোষ্ঠী ও লাড়ুর গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা নাগাদ চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ক্ষেতে ধান রোপনকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের ভূইয়ার গোষ্ঠী ও লাড়ুর গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জেড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় গোষ্ঠীর পক্ষে আশপাশের গ্রামের কয়েক শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে অংশ নেয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিজয়নগর থানাধীন চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) হাসান মাহমুদুল কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে বিজয়নগর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল ৩টা নাগাদ চলমান সংঘর্ষে স্থানীয় সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, সাতজন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মন্টু মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা গ্রেফতার আতঙ্কে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছে। বিজয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ |
« হয়রানির প্রতিবাদে আজ থেকে সিএনজি স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ তারে জড়িয়ে গুরুত্বর আহত হ’ল শামীম »