Main Menu

প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে বিয়ে করলেন ইউক্রেনের যুবক

+100%-

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপের সঙ্গে পরিচয় হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার বৃষ্টি আক্তারের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টানা দুই বছর প্রেম করেন। এতে বাধা হয়নি ৬ হাজার কিলোমিটারের পথ বা ধর্ম। প্রেমের শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।

গত ১৯ ডিসেম্বর পোল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন অ্যান্দ্রো প্রকিপ। সেদিনই নাম বদলে রেখেছেন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বৃষ্টিকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।

আজ সোমবার উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা হয় বৃষ্টি ও প্রকিপের সঙ্গে। এ সময় তারা জানান, বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা।

উপজেলার কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়া মেয়ে বৃষ্টি। বাবা কামাল মিয়া মারা গেছেন তিন বছর আগে। পাঁচ বোন এক ভাই মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। এসএসসি পাস করেছেন। টুকটাক ইংরেজি জানেন।বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি খুব খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন তাকে বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তার কথা রেখেছেন। তার সঙ্গে চলে যেতে কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বৃষ্টি আরও বলেন, ‘প্রকিপ নিজে থেকে আমাকে বিয়ে ও ধর্ম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন। আমি ওকে অনেক বিশ্বাস ও ভালোবাসি। কারণ, বাংলাদেশে আসার আগে প্রকিপ আমাকে উপহার হিসেবে একটি আংটি ক্রয় করার জন্য টাকা পাঠায়। তার দেওয়া আংটি আমার হাতে রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর দেশে এসেই আমাকে বিয়ে করার কথা জানায়।

ওর প্রতিটি কথায় আমার ন্যূনতম সংশয় হয়নি এবং সে আমার কাছে আসবে বলে নিশ্চিত ছিলাম। আমাদের বিয়েতে আমার পরিবারের সম্মতি ছিল। এর আগে আমি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে নিজের নাম বৃষ্টি প্রকিপ রেখেছি।’

প্রকিপ জানান, তার বিয়ে করা দরকার এবং তিনি মুসলিম হবেন, এই দুটি বিষয় তাকে আকৃষ্ট করেছে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে তিনি খুব খুশি। বাংলাদেশে তার ভালো লাগছে। পাশপাশি জামাই হিসেবে আতিথেয়তা তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি আরও জানান, বৃষ্টি মুসলিম মেয়ে, অনেক ভালো। আমার দেশের মেয়েদের তুলনায় ব্যতিক্রম। সকল প্রক্রিয়া শেষে এক মাস পর বৃষ্টিকে নিয়ে দেশে চলে যাব।

বৃষ্টির দাদি জোহরা বেগম বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। আমার নাতিন জামাই অনেক সুন্দর ও ভালো মনের মানুষ।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এই দম্পতিকে দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেকেই ছুটে আসছেন। তাদের এক নজর দেখার জন্য। আবার অনেকে শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন।’