নবীনগরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১



মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত আবুল হোসেন বলছেন, তার জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চলছিল বলে তিনি ভাঙচুর চালিয়েছেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আবদুল কুদ্দুস চারজনকে আসামি করে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে। শনিবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় আবদুল কুদ্দুস নবীনগর সদরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, হামলায় আমার পাঁচ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি এর প্রতিকার চেয়ে থানায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেন বলেন, যে বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে, সেই বাড়ির জায়গার মালিক আমি। ওই জমির মালিকানা নিয়ে বর্তমানে মামলা চলছে। আবদুল কুদ্দুস সেই জায়গায় জোর করে রাতের আঁধারে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। তাই আমি সেগুলো ভেঙে দিয়েছি। তবে কোনো লুটপাট করা হয়নি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের লিখিত অভিযোগটি শনিবার রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। প্রধান আসামির ছেলে মেরাজুলকে রোববার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।