Main Menu

ডাকাতির মামলায় বিজয়নগরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন গ্রেফতার

+100%-

মো:জিয়াদুল হক : বিজয়নগরের ইছাপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি আক্তার হোসেন দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০/০৩/২৩ ইং তারিখে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের নুর রহমানের ছেলে কামাল মিয়া দ্রুত বিচার আইনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আক্তার হোসেন সহ ৯ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এদিকে আক্তার হোসেনের ফেসবুক পেজে তার মেয়ে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করছেন এবং উনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বিজয়নগর উপজেলা পরিসদ গঠন হয়েছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাস্থ বিজয়নগর উপজেলা সমিতি গঠনের লক্ষে ঢাকয় বসবাসকারী গুণিজনদের এক সভা হয় উক্ত সভায় বিভিন্ন গুণিজন তাঁদের বক্তব্যে আমার বাবার প্রসংশা করেন। উনাদের মধ্যে অনেকে এমন উক্তিও করেন যে, আক্তার চেয়ারম্যান এখনো উপজেলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের উচিৎ তাঁর পাশে থেকে সহযোগিতা করা। উক্ত সভায় বিজয়নগর উপজেলার ভূমিদস্যু জহিরুল ইসলাম(খোকন), বাবুল আক্তার ও বকুল চেয়ারম্যানের ভাই এবং কথিত ভূমিদস্যুরা বিজয়নগর উপজেলার প্রশাসনিক ভবন, থানা ও আসপাশের ২০.৩৭ একর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল করে। তার মধ্যে প্রশাসন মামলা করে ১৪ একর জমি উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও থানার জন্য পূনরেদ্ধার করেন এবং বাকী জমি ভূমিদস্যুরা এখনো দখল করে আছে। প্রশাসন মামলা করে যে ভুমি উদ্ধার করে তা ভূমিদস্যুরা পুনরুদ্ধার করার লক্ষে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে যা চলমান। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন।

ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী ও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমার বাবাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা আমার বাবা ও চাচাদের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি মিথ্যা মামলা করেন। যার মধ্যে একটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে। দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মামলাটি প্রভাব খাটিয়ে সি আই ডি কতৃক চার্জশিট করিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আজ হাজির হলে আদালত জামিন বাতিল করে দেন।

বিজয়নগরবাসীর নিকট আমার একটি জিজ্ঞাসা আমার বাবা জনাব মোঃ আক্তার হোসেন আজ যে মামলায় হাজতে আছেন সে মামলাটি হল ডাকাতির মামলা। তিনি তাদের ইটের বাটার ম্যানাজারের নিকট থেকে একটি মোবাইল ফোন ও টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। আমি জনাব মোঃ আক্তার হোসেনের মেয়ে হিসাবে বিজয়নগরের সর্বস্তরের জনগণকে নিকট আমার জিজ্ঞাসা তিনি কি একজন ডাকাত।






Shares