স্ত্রীর মামলায় কিশোরগঞ্জের এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী কারাগারে
প্রতিনিধি: স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার ভোররাতে রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এসময় মামলার অপর আসামী ও আজিজুরের আপন ভাই রেজাউল মোস্তফাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে রোববার সকালে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবু আহসান হাবিব তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৮ নভেম্বর ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয় আজিজুরের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীয়তনগরের আহাম্মদ আলী মিয়ার মেয়ে জ্যোতির। বিয়ের পর থেকেই স্বামী আজিজুর ও তার পরিবারের লোকজন জ্যোতিকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে মারধর করতে থাকে আজিজুর ও তার পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ৬ জুন জ্যোতি কিশোরগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মস্থলে প্রধান সির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে এবং আর ভবিষ্যতে মারধর করবে না বলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু আসামীরা এতেও আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ১ মে তারিখে জ্যোতিকে পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিতে বলেন। এতে জ্যোতি অপারগতা স্বীকার করলে তাকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আসামীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ জুন বিকালে তার বাবার বাড়িতে এসে তাকে আবারো বেধরক মারধর করেন আসামীরা। এই ঘটনায় জ্যোতি বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শনিবার ভোররাতে আজিজুর রহমান ও তার ভাই রেজাউল মোস্তফাকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে সেদিনই তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এসএম কামরুজ্জামান জানান, আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহসান হাবিব তাদের জামিনের শুনানীর দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেন।