আশুগঞ্জে যাত্রীসহ উল্টে গেল এনা পরিবহন
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আতঙ্ক এনা পরিবহনের বাস। এনার চালকদের অদক্ষতা আর বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩৬ কিলোমিটার অংশে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় মরছে সাধারণ মানুষ। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই।
সর্বশেষ বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস গোলচত্বর অতিক্রম করার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
এ সময় বাসটি উল্টে গিয়ে মহাসড়কে পাশে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় বাসের ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। এসব বাঁক অতিক্রমের জন্য নির্দিষ্ট গতিসীমা বেঁধে দেয়া হলেও এনা পরিবহনসহ ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি পরিবহন সেই গতিসীমা লঙ্ঘন করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান।
এছাড়াও এনা পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, ইউনিক পরিবহনের বাসগুলো যাত্রীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার নামে মহাসড়কে ওভারটেকিং করে দ্রুতগতির প্রতিযোগিতায় নামে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এসব পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসগুলো।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী সব বাসই বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে এনা পরিবহনের বাসগুলোই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এনার বেপরোয়া গতি আর ওভারটেকিংয়ের কারণেই মহাসড়কে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।