আশুগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার॥
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে হামলার মূল নায়ক সোহেল। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। সে উপজেলার চর চারতলা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। তবে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে বলে জানান আহত ব্যবসায়ীর পরিবার।
২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পশ্চিম বাজারে নিউ নাফ টেলিকম দোকানে হামলা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুল হাসানকে গুরুত্ব আহত করে। আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কামরুল হাসানের বড় ভাই বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা করলে ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে একজন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও বাকী আসামীরা ঘুরছে বলে জানান মামলার বাদী। মামলায় অপর আসামীরা হলো চর চরতলার গ্রামের মৃত কাদির মিয়া ছেলে ফিরোজ মিয়া, ফিরোজ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া, সজিব মিয়া ও আলমনগরের জারু মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া।
মামলার বিররণে জানা যায়, আশুগঞ্জ বাজারে প্রতিষ্ঠিত মোবাইল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নাফ টেলিকম। প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং, ভিবো, অপো, এম.আই মোবাইল কোম্পানীর বেশ কয়েকটি শো-রুম রয়েছে। শো রুমের ভিবো মোবাইল কোম্পানীর স্যালসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল উপজেলার চর চরাতলা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। সম্প্রতি কোম্পানীটি সোহেল মিয়াকে চাকুরীচ্যুত করে। কোম্পানী কতৃপর্ক্ষ কি বিষয়ে সোহেলকে চাকুরীচ্যুত করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানাইনি বলে জানান কামরুল হাসান। এরপরও তার উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
কামরুল হাসানের বড় ভাইও প্রতিষ্ঠানের সত্বাধীকারী মাসুদ রানা জানান, আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্যেশে হামলা চালিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম সোহেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকি আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আমাদের উপর আবারো হামলা হতে পারে। তাই আমার পরিবার এখন আতংকে দিনকাটাচ্ছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।