আশুগঞ্জে পাচার হওয়া চাল নিয়ে তদন্ত কমিটির কাজ শুরু
প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে ৪৭ টন সরকারী চাল পাচার হওয়া নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
রোববার সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কারিগরি রবীন্দ্র লাল চাকমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে আসে। এসময় কমিটির সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম, কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সালমা আফরোজ ও আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবু কাউছার উপস্থিত ছিলেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কারিগরি রবীন্দ্র লাল চাকমা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনায় গঠিত তিন সদস্যের কাজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে। আমরা গুদামের বিভিন্ন কারিগরি দিক খতিয়ে দেখছি। গুদামের স্টক ঠিক আছে কি না ও অন্যান্য বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাবে না। খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবর দাখিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে সরকারী চাল পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে সোর্স পাঠায় র্যাব সদস্যরা। তাদের দেয়া তথ্যমতে উপজেলার আশুগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে বের হওয়া সময় সরকারী চালবোঝাই তিনটি ট্রাকের পিছু নেয় তারা। এসময় তিনটি ট্রাক বাহাদুরপুর মেসার্স ওসমান গনী এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস্ অটো সর্টার মিলে সরকারী খাদ্য সহায়তার চাল নিয়ে যায়। সেখানে মিলের ভেতরে এই চালকে প্রক্রিয়াজাত করে মিনিকেট চাল বানানোর সময় আরো প্রায় দুই ট্রাক চালসহ তিনজন ট্রাক চালককে তাৎক্ষনিকভাবে আটক করে র্যাব সদস্যরা। আটককৃতরা হল ট্রাকচালক ইয়াছিন মিয়া (২০), জয়নাল আবেদিন (৩৫) ও হানিফ মিয়া (৩৫)। এই ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। র্যাব সদস্যরা বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আশুগঞ্জ থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করেন। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কারিগরি রবীন্দ্র লাল চাকমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে।